পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পৃথিবীর বুকে ভারসাম্য বজায় রাখতে গেলে প্রকৃতি কে সংরক্ষণ করা অত্যাবশ্যক। বিগত কিছু বছর ধরে সেই কাজেই নিজেকে নিয়োগ করেছেন মাইদা বিলাল। পরিবেশ রক্ষার তাগিদে বসনিয়ানের ক্রুসিকা নদীতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে গোল্ডম্যান পরিবেশ পুরস্কার পেয়েছেন মাইদা বিলাল।
এর আগে অবশ্য সমাজে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে উঠে এসেছে অনেকের নাম তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মেধা পাটকর, যিনি ভারতবর্ষের একজন প্রথম সারির সমাজকর্মী।. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনএ পালন করা উল্লেখনীয় ভূমিকার জন্য ইনি বিখ্যাত।এছাড়াও সুন্দরলাল বহুগুণা নাম ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একাধারে পরিবেশবিদ এবং চিপকো আন্দোলনের নেতা। চিপকো আন্দোলনের ভাবনাটি তার স্ত্রী বিমলা দেবীর ছিল। এবং
সুন্দরলাল এই আন্দোলনটি বাস্তবায়িত করেছিলেন।পরিবেশের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য পদ্ম ভূষণে সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি একাধিক এওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। তেহরি ড্যামে বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করে ৮৪ দিন অনশন করেছিলেন। সেই লড়াই ও ছিল না সহজ। এছাড়াও আছেন বাবা আমতে,গৌরি দেবী,অরুনা দেবী,বন্দনা শিভা যাদের নাম ও সমান ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ।
মাইদা বিলাল যখন এই কাজ শুরু করেন, তখন তাঁকে একাই কাজ শুরু করতে হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি গ্রামের মহিলাদের নিয়ে একটি দল গঠন করে টানা ৫০০ দিন ধরে ওই প্রকল্পের বিরোধিতা করে গিয়েছিলেন। এর জন্য তাঁকে শারীরিক ও মানুষিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে।তবুও তিনি পিছুপা হন নি।লড়ে গিয়েছেন সেই লড়াই। তাঁর বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত সরকার পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং ওই প্রকল্পের অনুমোদন বাতিল করে দেয়৷
২০১৮ সালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে যুদ্ধ জেতার পর থেকেই ৪০ বছরের মাইদা বলকান দেশটিতে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, টানা ৫০৩ দিন ধরে তারা নদী রক্ষার জন্য বিরোধিতা করেছেন।তিনি আরও বলেছেন যে, প্রয়োজন পড়লে তারা ৫হাজার ৩০০ দিন ও লড়াই করতে রাজি ছিলেন।
মাইদা আরও বলেন, ‘নদীটি রক্ষা করতে আন্দোলন করার জন্য আমি চাকরি ও বন্ধুবান্ধব হারিয়েছি৷ আমার মেয়ে স্কুলে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এটা কাজটি খুব সহজ ছিল না৷ তবে আমি সব সহ্য করেও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। আমার মেয়ে বড় হলে তাকে যেন মায়ের মতো সমস্যার মুখে না পড়তে হয়।’ মাইদা এবং তাঁর কর্মীদের একটাই দাবী ছিল যে,প্রকল্পটি হলে তা পরিবেশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের কাজে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়।তারা তাও মনের জুড়ে,পরিবেশের কথা ভেবে সেই কাজ করে চলে এবং অবশেষে জয় হয় তাদের। এবং সেই সেতুর নামকরণ ও করা হয় মাইদা বিলাল এর নামেই।