দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট, ২২ জুনঃ রামপুরহাট কোভিড হাসপাতালে বসলো দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট। নির্বাচনের পরই কোভিড পরিষেবা নিয়ে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সুফল পেল রামপুরহাট মহকুমা। সে দিক থেকে রামপুরহাট মহকুমাবাসীদের কাছে যথার্থ বড় দিন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, একটি এল এম ও অর্থাৎ লাইট মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসেছে মেডিক্যাল কলেজে। যার ফলে আর জাম্বো সিলিন্ডারের প্রয়োজন পড়বে না। পাইপ লাইনের মাধ্যমে হাসপাতাল কেবিনে ওটিতে পৌঁছে যাবে। এরজন্য আনুমানিক খরচ ৬০-৭০ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক একমাসের মধ্যেই এই প্ল্যান্ট চালু করলো স্বাস্থ্য দফতর। দুটি প্রেসার সিস্টেম এবসর্পসন বানাবে ডব্লিউ বি এম এস সি এল এবং এল এম ও বানাবে পি এইচ ই। তার আগে তাঁরা দেখে যাবেন হাসপাতাল। এল এম ও সেন্ট্রাল রিসার্ভরে ট্যাংকার মারফত লিকুইড অক্সিজেন ঢেলে দেবে। তারপর সেখান থেকে পাইপ লাইনে হাসপাতালে যাবে। বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজে ৬২৬ আসন সংখ্যা। সেটি বেড়ে ৭২০ করা হবে। সবাই অক্সিজেন পাবে পাইপ লাইনে। তবে পাইপ লাইনের কাজ কিছুটা বাকি থাকলেও, বেশিরভাগ কাজ সম্পূর্ণ থাকায় মেশিন বসিয়ে রোগীদের জন্য হাই ফ্লো অক্সিজেন লাগে সেটা পোঁছে যাবে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল বলেন, শুধুমাত্র কোভিড নয়, এরপর কোভিড যখন থাকবে না, যখন কার্ডিও থেরাপি সহ আরও অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যেখানে ঘন্টার ঘন্টার মত ওটি হবে তখন তো এটা সবার উপকার হবে। এব্যাপারে মন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিড দেখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মহতী কাজ হচ্ছে। এটা আগেও বলেছেন, এখনও বলেছেন। মেডিক্যাল কলেজের এম এস ভিপি পলাশ দাস বলেন, এখন অক্সিজেনের ঘাটতি থাকবে না। পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। তবুও এই নতুন প্ল্যান্ট আমাদের কাছে বিরাট পাওনা।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে অক্সিজেনের অভাবে চারজন রোগী মারা যান মেডিক্যাল কলেজে। তারপর মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হন এই প্ল্যান্টের ব্যাপারে।