কৌশিক সালুই, বীরভূম:- গান-বাজনা খানাপিনা হইহুল্লোড় করে জন্মদিন পালন নয়, জন্মদিন কে স্মরণ করতে এক অভিনব পন্থা বাছলেন বীরভূমের এক স্কুল ছাত্র। কিশোর থেকে সদ্য যুবক হওয়া সেই ছাত্র বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে রক্তদান কর্মসূচি পালন করলেন। মোশারফ হোসেন বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি থানার করিমপুর গ্রামের।
সিউড়ির শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ এর দ্বাদশ শ্রেণীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার ছিল তার ১৮ তম জন্মদিন। অর্থাৎ সে এদিন নাবালক থেকে সাবালক হয়েছে। আর এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে রক্তদান কর্মসূচি করলেন।
যেখানে তার বন্ধুরা সকলেই এই মহান কর্মযজ্ঞে শামিল হলেন। পার্শ্ববর্তী তিনটি গ্রামের ২৪ জন ১৮ বছর বয়সী জীবনে প্রথমবারের জন্য রক্তদান করলেন।
মোশারফ বিগত এক বছর ধরে বীরভূম জেলা ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করে চলেছে সে। এই মহামারী কালে বিভিন্ন হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক গুলি তে রক্তের ব্যাপক অভাব দেখা গিয়েছে।
সেই বিষয়টি লক্ষ্য রেখেই এদিনের এই কর্মসূচির উদ্যোগ। মোশারফ এর কৃষিজীবী বাবা থেকে ছোট্ট বোন সকলেই এদিন মহা উৎসাহে অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছেন। রক্তদাতাদের হাতে মানপত্র, ফলক এবং একটি করে গাছের চারা দেওয়া হয়। সদ্য সাবালক হওয়া স্কুলছাত্রের উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ জন।
মোশারফ হোসেন খান বলেন,” বিগত এক বছর ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে এক ভয়ানক পরিস্থিতি। বহু মানুষ এর শিকার হয়েছেন। এই অতি মারি সময়ে হাসপাতালগুলোতে রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই এদিন আমার জন্মদিন উপলক্ষে বন্ধুদের সহায়তায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করলাম। ১৮ বছর বয়স হলেই যে রক্তদান করা যায় তার বার্তাও দিলাম আমরা। যাতে আমাদের বয়সী ছেলেরা সমাজের জন্য কিছু করতে এগিয়ে আসে”।