পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ অটিজম নিয়ে এখনও বিপুল অংশের মানুষ উদাসীন। অটিজম হল এক প্রকার মানসিক সমস্যা, যা শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। নিউরোডেভেলপমেন্টাল সমস্যা হিসেবে যা চিহ্নিত। এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে সাধারণত এই রোগ দেখা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল জন্মের সময় মা বাবা, এমনকি চিকিৎসকরা পর্যন্ত অনেকক্ষেত্রে এই রোগ ধরতে পারেন না। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাতেও এবার অটিজম নিয়ে সচেতনতা এবং চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দূরবর্তী জেলা ও প্রত্যন্ত এলাকার অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বাড়ির কাছেই স্পিচ থেরাপি, বিহেভিয়ারাল থেরাপির মতো আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি ওই কেন্দ্র থেকে সরকারি শংসাপত্র দেওয়ার কাজও করা হবে। যার ভিত্তিতে আক্রান্ত শিশুরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিশেষ প্রকল্পসমুহেরও সুযোগ পাবে। রাজ্য সরকার অটিজম আক্রান্ত শিশুদের মাসিক একহাজার টাকা করে ভাতা দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারও অটিজম আক্রান্তদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্র চালু করেছে। যার ভিত্তিতে যে কোনও রাজ্যে চিকিৎসার সুযোগ, রেলের টিকিটে ছাড়-সহ একাধিক ছাড় মেলে। এর পাশাপাশি ওই কেন্দ্রগুলি থেকে অটিজম নিয়ে জনমানসে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিশেষ প্রচারও চালানো হবে। রাজ্যে যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি আছে, সেখানে শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দেখভাল করার পরিকাঠামো রয়েছে। রাজ্য সরকার সেখানে দিনে ১.২ লক্ষ শিশুর দেখভাল করছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি যেসব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ নেই সেখানেও জেলা হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে এই রোগের বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র। এই সমস্ত হাসপাতালে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হবে বিশেষ পরিকাঠামো। কোনও শিশু এই রোগের শিকার কি না, তা জানা যায় তার জন্মের ১৮ মাসের মধ্যেই। যদি গোড়া থেকেই চিকিৎসা করানো যায়, তাহলে সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে বৌদ্ধিক বিকাশ মাপার যন্ত্র আছে। সেই মাপকাঠিতে কোনও শিশু যদি গড় মাত্রার নীচে থাকে, সেক্ষেত্রে তার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।