ওয়াশিংটন, ৩ মে: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চলমান ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ জেনো যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শুরু হলেও, পুলিশি অভিযানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাতের রুপ নিয়েছে। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদসংস্থার এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, একাধিক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা নিয়েছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে সাঁজোয়া যান ও স্টান গ্রেনেডের মতো অস্ত্র ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, পুলিশি অত্যাচার ও ধরপাকড়কে উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা জোর গলাই জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে চরম বিপাকে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। পড়ুয়াদের চলমান বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা যেকোনো নাগরিকের অধিকার। তবে অবশ্যই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।’ বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে বাইডেন বলেন, ‘সম্পত্তি ধ্বংস করাকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বলে না। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা আইন বিরুদ্ধ। ভাঙচুর চালানো, ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দেওয়া, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া এবং ক্লাস বাতিল করতে বাধ্য করা-এসবের কোনোটিই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘ভিন্নমত গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু ভিন্নমত কখনোই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না বা অন্যের অধিকার কেড়ে নেবে না।’
প্রসঙ্গত, গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এই হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ থামাতে ক্যাম্পাসগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। একাধিক ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।