বেজিং, ২৭ এপ্রিল: রাশিয়াকে সহায়তা করলে চিনকে এর ফল ভুগতে হবে, স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চিন সফরে গিয়ে কার্যত চিনকেই হুঁশিয়ারি দিল ওয়াশিংটন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) চিনের সাংহাই শহরে পৌঁছেছেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী। তারপর শুক্রবার বেইজিংয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে প্রেস কনফারেন্সে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি চিনা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়াকে সহায়তা করলে, চিনের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। যে কোনও ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে আমেরিকা।’
BREAKING: 🇺🇲🇨🇳 Blinken threatened China in a press conference after meeting with Xi Jinping with SANCTIONS for helping Russia
He also accused Russia of killing children after the US fully armed and supported Israel in the largest genocide since World War II
China is the main… pic.twitter.com/aye5wQBCRu
— Megatron (@Megatron_ron) April 26, 2024
মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পাল্টা দিয়েছে চিনও। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভণ্ডামির অভিযোগ করেছে বেইজিং। জিংপিং বলেন, “একদিকে ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া-চিনের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের অযৌক্তিক সমালোচনা করা হচ্ছে। বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চিনকে একে অপরের অংশীদার হওয়া উচিত, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।”
চিনা প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন, “আমি তিনটি প্রধান নীতির প্রস্তাব করেছি- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সমান সমান সহযোগিতা। যখন এসব মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখনই সত্যিকার অর্থে সম্পর্ক স্থিতিশীল ও ভালো হতে পারে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র চিনের উন্নয়নে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেবে। চিনও একটি সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায়।”