পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট।ইউপির দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এটি সাবধানী বিজেপি। ৪০৩টি আসনের এই বিধানসভা ভোটে বিজেপি এতটাই সাবধানী যে কোন নেতা কোন আসন থেকে লড়তে পারেন তাও কেউ সামনে আনতে চাইছে না। তার সিদ্ধান্তও শীর্ষ মহলের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর সাফ জবাব, দল যদি মনে করে, তবেই তিনি নির্বাচনে লড়বেন।অনেকে বলছেন একথা বলে আসলে যোগী বাকি বিজেপি নেতাদের একটা বার্তা দিলেন। তাদের বুঝিয়ে দিলেন, দলই শেষ কথা। সুতরাং টিকিট নিয়ে যেন কেউ ঝামেলা না করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বরাবরই নির্বাচনে লড়েছি। এবারও যদি দল মনে করে, তবে আমি বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াব। দল যে আসন ঠিক করে দেবে, সেই আসন থেকেই লড়ব। দলের একটি সংসদীয় বোর্ড রয়েছে, সেই বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে কে কোন আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।”
আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার কথা। গত নির্বাচনে ৩১২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, এবারে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তারা কমপক্ষে ৩৫০টি আসন পাবেন।
উত্তরপ্রদেশ সরকার বিরোধিতা প্রবল। কিন্তু তাকে কাজে লাগানোর কেউ নেই। ভোটের আগেই অখিলেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবলভাবে লড়বে না।মায়াবতী যে বিজেপির বিরোধিতা কেবল গা বাঁচানোর জন্যে করবেন তাও ইউপির ভোটাররা জেনে গিয়েছেন। বাকি রইল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীকে আজকাল যতটা মানবাধিকার কর্মী বলে মনে ততটা রাজনীতিবিদ বলে মনে হয় না। তাছাড়া কংগ্রেস নিজেই চাপে রয়েছে। দলটার মধ্যে এনার্জির অভাব মারাত্মক। এমন অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপির গড়ে ভাঙ্গন ধরানো কঠিন সন্দেহ নেই। তবে রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কোনো কথা নেই। রাজনীতি হল সম্ভবনার শিল্প।