পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিদ্যমান ঋণনীতি কঠিন শর্তাবলীর অধীনে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগ পেতে হচ্ছে ভারতকে। তাই নয়া ঋণণীতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে দিল্লি সরকার। সেই নয়া পরিকাঠামোর অধীনে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ঋণ দিতে পারে ভারত, এমনটাই জানা গেছে সূত্র মারফৎ। আগামী সপ্তাহে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্তে বৈঠক হবে বলে খবর। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। বর্তমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু কঠিন শর্ত রয়েছে।তাই এই নয়া পরিকাঠামোর অধীনে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনৈতিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসিনার সফরকালে কোনও নতুন ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নেই, তবে এই যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হতে পারে।
আগামী ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘হায়দরাবাদ হাউসে’ মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। সেখানেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে নয়া ঋণনীতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, বিগত কয়েক মাস ধরেই ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে নতুন ঋণ কাঠামো এবং এর পরিমাণ ও শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশকে ৭.৩৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১.৭৩ বিলিয়ন ডলার বা প্রতিশ্রুতির ২৩ শতাংশ ব্যবহার করেছে। বিদ্যমান ঋণ পরিকাঠামো ইন্ডিয়ান লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) এর শর্ত খুবই কঠোর। বর্তমান ঋণনীতিতে প্রতিটি প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬৫-৭৫ শতাংশ পণ্য বা পরিষেবা ভারত থেকে সংগ্রহ করতে হবে। কঠিন শর্তাবলী হওয়ার এই প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হচ্ছে। তাই এই নয়া চিন্তাভাবনা।