দেবিকা মজুমদার: জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-আরিজ আফতাব কে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যে ফুল বেঞ্চ আসার আগেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা শূন্যতে পৌঁছে দিতে হবে। রাত পোহালেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হবে। এমতাবস্থায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা পড়ে রয়েছে। যার মধ্যে শহর কলকাতাতেই পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা।
কমিশন সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এই রাজ্যে সাত দফাতেই হবে। ঘোষণার পরেই দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকবে রাজ্যে। ৫২ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং হবে। বাকি সব বুথে কোথাও সিসিটিভি, কোথাও ভিডিওগ্রাফি এবং মাইক্রো অবজারভার দিয়ে সবকিছু পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরাহনগরে দুটি বিধানসভার উপনির্বাচন একইসঙ্গে সম্পন্ন করতে চাইছে কমিশন। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এই দুটি বিধানসভার উপনির্বাচন হবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গেই। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এই দুই বিধানসভা এলাকায় প্রতি বুথের জন্য দুজন করে অতিরিক্ত ভোট কর্মী লাগবে। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সেই কাজ করে ফেলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন ১০ মার্চ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ১১ এপ্রিল থেকে সাতটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ ২৩ মে ভোট গণনা হয়েছিল৷ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৫ জুন। কারণ ২০১৯ সালে ১৬ জুন প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম এবং আইন অনুযায়ী তাই এই লোকসভার মেয়াদ ১৫ জুন পর্যন্ত আছে। তার আগে শেষ করতে হবে আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। এখন দেখার বিষয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই যে ভূমিকা পালন করে চলেছে তাতে করে এই রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করাতে আদপে কতটা সক্ষম হয়।