পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সিট তদন্ত করুক, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে এবার আবেদন জমা পড়ল। পিটিশনটি যৌথভাবে দায়ের করেছে কমন কজ এবং সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি বেনামী অর্থ সঞ্চয় করেছে, সেই সমস্ত ষড়যন্ত্র ও কেলেঙ্কারির সত্য উদঘাটনের জন্য সিট-এর হাতে তদন্তভার দেওয়া হোক। আবেদনকারীদের দাবি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটিকে এখনও পর্যন্ত ভারতে এবং সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম কেলেঙ্কারি হিসাবে বলা হচ্ছে। আবেদনে অনুরোধ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বাধীন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়ে সিটের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। তদন্তের তত্ত্বাবধানে রাখা হোক সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে।
নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে দেশের কিছু প্রধান তদন্তকারী সংস্থা যেমন সিবিআই, ইডি এবং আইটি বিভাগেরও। অভিযোগ, তদন্তকে প্রভাবিত করতে তদন্তাধীন বেশ কয়েকটি সংস্থা শাসক দলকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করছে। আবেদনটি অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণের মাধ্যমে দায়ের করা হয়, আদালতে এই মামলা উত্থাপন করেন আইনজীবী নেহা রাঠি এবং কাজল গিরি।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি সরকারের শাসনামলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রয়াত অরুণ জেটলি ইলেকট্রোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের কথা ঘোষণা করেন। ২০১৭ সালে অর্থ বিলের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচনী বন্ড চালু করে মোদি সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, নগদে যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ‘চাঁদা’ দিয়ে থাকেন, তার এক বিকল্প তথা স্বচ্ছ পদ্ধতি তৈরি করা৷ নিয়ম ছিল, এই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের আওতায়, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে এসবিআই-এর কাছ থেকে বন্ড কিনতে পারবেন৷ পরিবর্তে সেই টাকা ভাঙিয়ে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি৷ গোটা পদ্ধতিটির মধ্যে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তবে এখন সেই স্বচ্ছতাই প্রশ্নের মুখে। দেখা যাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই রেইড করেছে তারাও বন্ডে টাকা দিয়েছে। আর চাঁদার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিজেপির ফান্ডে।