পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ জার্মানির মিউনিখ শহরে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর জোট জি-৭ নেতারা। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য এবং জ্বালানি ইস্যুতে আলোচনা হবে। ইউক্রেন ইস্যুতে জি-৭ নেতারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবেন।
ইইউ’র এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জি-৭ এর প্রধান বার্তা হবে ঐক্য এবং কর্মের সমন্বয়। বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে জার্মানিতে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যান্যরা। জি-৭ দেশগুলি হল ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও আমেরিকা। বৈঠকে রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের বিকল্প উৎস নিয়ে আলোচনা হবে।
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিও বৈঠকে প্রাধান্য পাবে। ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর কঠিন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যে রয়েছে মস্কো থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করা। তবে বিকল্প যোগান না পাওয়া পর্যন্ত গ্যাস নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি কয়েকটি দেশ। মঙ্গলবার পর্যন্ত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর বাইডেন ন্যাটো সামরিক জোটের এক সম্মেলনে যোগ দিতে মাদ্রিদ যাবেন।
মনে করা হচ্ছে, আমেরিকাসহ জি-৭ নেতারা রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ করতে চলেছে। এটি মস্কোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা হবে। বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা জি-৭ এর নেতারা একত্রিত হয়ে রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করব।’ এদিকে, সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই মিউনিখের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজারো বিক্ষোভকারী। মিউনিখের রাস্তায় প্রায় ৪ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। বিক্ষোভ পরিচালনাকারীরা বলছেন, তারা বাভারিয়া শহরে ২০ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আশা করেছিলেন। মিউনিখে ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য মোয়েতন করা হয়েছে। তারা জি-৭ সম্মেলনে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।