পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ নিয়ে গবেষকরা দ্বিধাবিভক্ত। হামলার পরই পশ্চিমা বিশ্ব তালিবানের দিকে সন্দেহের আঙুল তুললেও পরে আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করে। এরপর আমেরিকাও জানায়– এই হামলার সঙ্গে তালিবানের কোনও যোগ নেই। হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে অ্যাবে গেট ও বিদেশীদের ব্যারন হোটেলের নিকটবর্তী স্থানে পর পর দু’টি বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা ১৫০ হওয়ার কারণে নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়– এই হামলার সঙ্গে তালিবান জড়িত কিনা? এর জবাবে তিনি বলেন– ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। এখনও পর্যন্ত আমরা যা জানি– তাতে তালিবান এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।’ সাকি বলেন– ‘আমি মনে করি জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন এবং তিনি এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে অতিরিক্ত তথ্য নেই। তালিবান এই হামলার ব্যাপারে জানত না বা এর সঙ্গে জড়িত ছিল না বলেই মনে করি।’
প্রেস সচিব আরও বলেন– স্পষ্টতই– আজ যা ঘটেছে এবং আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা সদস্যদের প্রাণহানি একটি ট্র্যাজেডি। এটা ভীতিকর। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে আমার অভিজ্ঞতার সবচেয়ে খারাপ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি এটি। তবে আফগানিস্তান থেকে বিদায়কালে তালিবানকে কোনও ভাবেই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়নি হোয়াইট হাউস। বাইডেন জানেন– তালিবান সহযোগিতা না করলে কাবুল থেকে লক্ষাধিক মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। আগামী দুদিনেও তালিবান আমেরিকাকে উদ্ধার চালাতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের জেন সাকির কথায়– ‘এটাও সত্য যে আফগানিস্তানের বিশাল অঞ্চল এখন তালিবানের নিয়ন্ত্রণে। আর তালিবানের সঙ্গে সমন্বয়ের কারণেই আজ পর্যন্ত আমরা ১ লক্ষ ৪ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছি।’
কাবুলের বিমানবন্দরে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএসকে আফগানিস্তান বা আইএস খোরাসান। আমেরিকাও এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রকাশ করেছে। তবে তালিবানের সঙ্গে আইএসের কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাননি বলে জানান বাইডেন। বলেন– ‘কাবুলে নিয়োজিত কমান্ডারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যেসব নথিপত্র আমাকে দেওয়া হয়েছে– সেখান থেকে এটা কোনওভাবেই নিশ্চিত হওয়া যায় না যে এই হামলাকে কেন্দ্র করে আইএস ও তালিবানের মধ্যে কোনও ধরনের যোগসূত্র রয়েছে।’ তবে যে বা যারাই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে বদলা নেওয়ার হমকি দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন– এ কাজের জন্য অপরাধীদের কখনই ক্ষমা করবেন না তিনি। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করে তাদের নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেল আমাক নিউজ এজেন্সিতে।