পারিজাত মোল্লা: শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার প্রত্যাহারের জন্য ইডি-কে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, -‘বিদেশ যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে ইডি-কে জানালেই হবে’।এর আগে আদালতকে ইডি জানিয়েছিল, -‘ ২৬ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত বিদেশ যেতে তাঁরা অভিষেককে অনুমতি দিয়েছে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিসন কউল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে চলে অভিষেক মামলার শুনানি। এদিন অভিষেকর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, -‘ অভিষেকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস রয়েছে কি না ইডিকে জানাতে হবে’। এর জবাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটির জেনারেল তথা ইডির আইনজীবী এসভি রাজু আদালতে বলেন,-‘ অভিষেক ইতিমধ্যেই বিদেশে পৌঁছে গিয়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েক বার তিনি বিদেশে গিয়েছেন’। তাঁর বক্তব্য জানার পরই কপিল সিব্বল বলেন, -‘ তার মানে অভিষেকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস নেই’।দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কউল ইডির উদ্দেশে বলেন, -‘ কেউ বিদেশ যেতে চাইল, আপনারা অনুমতি দিয়ে দিলেন।
লুক আউট নোটিসের প্রসঙ্গ চলে এলেই বুঝতে হবে, তাঁকে আটকানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দু’টি বিষয় চলতে পারে না। আপনারা একই সঙ্গে নিজেদের ও আদালতেরও সময় নষ্ট করছেন’। বিতারপতি কউল আরও বলেন, -‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তকে সন্দেহ করার ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে হয়। সেটা থেকে সরে আসা যায় না। ইডি এতটা শক্তিশালী হওয়ার পরেও কেন এমনটা হচ্ছে? যদি লুক আউট নোটিস থাকে, তবে তা প্রত্যাহার করে নিন’।উল্লেখ্য, গত সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিদেশ যাত্রা আটকানো উচিত নয়’, কেন লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল, ইডি-র কাছে তা-ও জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।