পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রতি বছর নিয়ম করে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ম্যান্টানে যেতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি। তার বিধায়ক অফিস এই ম্যান্টন। এবারও কি যাবেন মমতা! তৃণমূল সুত্রে খবর, এবারও দলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ম্যান্টনে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে বেহালা পশ্চিমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেহালায় দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কিছু বলবেন কিনা দলনেত্রী তা জানার জন্য সকলেই নজর রয়েছে।
এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি এখনও বেহালা পূর্বের বিধায়ক। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ানো এবং তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ায় বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক এই মুহূর্তে দল থেকে সাসপেন্ডেড।
যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কারণে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে কোনও সন্দেহ নেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নতুন করে টিকিট দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় ১৪ আগস্টের সান্ধ্য অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি নতুন করে কারও নাম উসকে দেবেন। বিশেষ করে এই এলাকায় থাকা মানুষদের বিধায়ক হিসাবে যে পরিষেবা তা কিভাবে সম্পন্ন হবে, সেই বিষয়েও কি কোনও দিশা দেখাবেন মমতা! রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
বেহালার এক তৃণমূল নেতার কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর থেকেই এই এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দিশেহারা। দলনেত্রী আসলে অবশ্যই সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা উৎসাহিত হবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের চাহিদাও পূরণ করবেন মমতা।