পুবের কলম প্রতিবেদক: দুধ দিয়ে কালসাপকেও পোষেন কি-না, তা তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু সাপের ছোবলে প্রতি বছর দেশে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর সাপের কামড়ে অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সংখ্যা অন্তত ৩ হাজারের বেশি। গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ সময় সাপে কামড়ালে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসার চেষ্টায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এসবের প্রবণতা কমাতে এবং চিকিৎসার সঠিক তথ্য জানাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি অ্যাপ চালু করেছে। বাংলা এবং ইংরেজিতে বিস্তর তথ্য পাওয়া যাবে সেখানে। অ্যাপটি ইতিমধ্যেই ৫-এর মধ্যে ৪.৭ রেটিং পেয়ে এই জাতীয় অন্যান্য অ্যাপের থেকে এগিয়ে গেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান ও হুগলি জেলায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার সর্বাধিক। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের সর্পচিকিৎসক ডাক্তারদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ৫ দিনে সাপের কামড়ে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই মৃত্যুর প্রবণতা রুখতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অ্যাপটি লঞ্চ করা হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক ও স্টেট মেডিসিনের প্রধান ডা. সোমনাথ দাস রাজ্য সরকার এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন।
গুগল প্লে স্টোরে গেলে ‘স্নেকবাইট প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসকিউ’ নামে এই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। সাপে কামড়ালে কী করা উচিত হবে, আর কী করা যাবে না, সেই সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সাপের ছবি-সহ তাদের সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সাপে কামড়ালে ওই এলাকায় কোনও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে এবং সেই হাসপাতালের স্টকে কতটা ওষুধ আছে, তারও বিশদ তথ্য পাওয়া যাবে। হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০৩৪৫০০৩৩-এ ফোন করলেও সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, এই নম্বরটিও সেখানে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে সাপের কামড়ে মৃত্যু হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হ’ত, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ টাকা।