নেপিদাউ, ১৩ মার্চ: মায়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। এক তথ্যে উঠে এসেছে, গত ৩ বছরে ২ হাজারের বেশি বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে জান্তা বাহিনী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সেনা সমর্থিত জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই গণহত্যার ঘটনাগুলি ঘটেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঘটেছে সাগাইং অঞ্চলে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস যুদ্ধের পর মায়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দেশটির তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ জোট। চিনের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তাঁরা। মায়ানমারের জান্তাবাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের পর গত বছরের অক্টোবর থেকে উত্তর মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী তথা মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মির (এএ) বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। মাঝে চিনের মধ্যস্থতায় এই তিন গোষ্ঠীর সঙ্গে একবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
মায়ানমার জান্তা সরকারের মদতে গণহত্যা চালানোর তীব্র প্রতিবাদ জানায় মানবাধিকার সংস্থা থেকে গণতন্ত্র কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ বিশ্বের অন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপের অভাবেই জান্তা সরকার জনগণের ওপর এমন নির্বিচার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাতে পেরেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২ হাজার ৭৯ মানুষকে গণহত্যা করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জান্তা সরকার ১ হাজার ৬৫২টি বিমান হামলা চালিয়ে ৯৩৬ জনকে হত্যা করেছে। বিমান হামলায় ১৩৭টি ধর্মীয় ভবন, ৭৬টি স্কুল এবং ২৮টি হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)