পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিনা খরচে থাকা, খাওয়া ও পড়াশোনার সুযোগ দেয় জওহর নবোদয় বিদ্যালয়। কমবেশি সব অভিভাবকরাই নিজের সন্তানকে এই আবাসিক স্কুলে ভর্তি করার কথা ভাবনা করেন। ২০২৩-২৪ –এর শিক্ষাবর্ষে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ষষ্ট শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। ২ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সময় নির্ধারণ হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩ এর ২৯ এপ্রিলে প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। তবে নবোদয় বিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভর্তি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠরত পড়ুয়ারাও আবেদন করতে পারবে। ১৯৮৬ সালের ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার জওহর নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপন করে। দেশের ২৭- টি রাজ্য এবং ৮-টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বর্তমানে এই বিদ্যালয় চালু আছে।
১ মার্চ, ২০১৫-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে সর্বমোট ৬৬০ টি অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং ৫৮৯ টি কার্যকরী জওহর নবোদয় বিদ্যালয় আছে। একটি জেলায় সাধারণত একটি করেই বিদ্যালয় থাকে। স্কুলগুলিতে কো-এডুকেশন ও আবাসিক শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি নামক স্বয়ংশাসিত সংস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিদ্যালয়গুলির ব্যায় ভার বহন করে। জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার পর সফল ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা হয়।
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা অথবা আঞ্চলিক ভাষা। গণিত ও বিজ্ঞানের পড়ানো হবে ইংরাজীতে। ইতিহাস- ভূগোলের মতো বিষয় গুলির মাধ্যম হবে হিন্দী। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মধ্য শিক্ষা পর্ষদের ‘সিবিএসই’ এর নিয়ম মেনে। যদিও নবোদয় বিদ্যালয়ে থাকা, খাওয়া, ইউনিফর্ম সহ বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হয়। শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য মাসে নূন্যতম ৬০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়।
অবশ্য ছাত্রীরা এবং তফশীলি জাতি /উপজাতি /প্রতিবন্দ্বী এবং দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা পড়ুয়ারা এই ফি এর আওতার বাইরে থাকবে। যে সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক সরকারী চাকরি করেন এবং সন্তানের পড়াশোনার জন্য ভাতা পান তাদের ক্ষেত্রে মাসিক ফি ধার্য করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০০। এর থেকে কম যারা ভাতা পান, তাঁদের সন্তানদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয় ৬০০ টাকা বা তার বেশি। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই তা ৬০০ টাকার নিচে নয়।
তামিলনাডু ছাড়া ভারতের বাকী সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এই বিদ্যালয় আছে। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির মস্তিষ্কপ্রসূত এই বিদ্যালয় ব্যবস্থার মুখ্য বৈশিষ্ট্য হল, আর্থ- সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির (বিশেষত গ্রামাঞ্চলের) তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন শিশুদের বেছে তাদেরকে বিশ্বমানের পরিবেশে রেখে তাদেরকে উচ্চ মানের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া।