পুবের কলম প্রতিবেদক: শুরু হচ্ছে হাম এবং রুবেলার টিকাকরণ। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী। টিকা প্রাপকের সংখ্যা বাড়লে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে টিকাদানের সময় বাড়ানো হতে পারে। তবে এর জন্য চাই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মী। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে একথা জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
টিকা প্রদানের সেন্টার হিসেবে সাধারণ স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হয়। সেক্ষত্রে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। এই দোলাচল না কাটলে টিকাপ্রদানে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে, বেসরকারি স্কুলগুলির সহযোগিতা চেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে স্কুলগুলির কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলেও, স্কুলগুলির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে খবর। ফলে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বিরাট সংখ্যা বাদ পরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুরসভা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে সদ্যোজাত শিশু থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাম (মিজেলস) ও রুবেলার টিকা দেওয়া হবে। শহরে সরকারি, পুর এবং বেসরকারি মিলিয়ে ২ হাজার ৪৮৮টি স্কুলে টিকাকরণ চলবে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি স্কুলে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কিভাবে টিকাকরণের কাজ সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সম্প্রতি পুরসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কলকাতা পুরসভার তরফে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে টিকাকরণে পুরসভার সমস্যাগুলি স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের কাছে তুলে ধরেন তিনি। জানা গিয়েছে, টিকাকরণের কাজে পুরসভার সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে শহরের ১৯৫ টি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে প্রশংসিত হয়েছে তিনটিমাত্র বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে টিকাকরণের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি সমস্যা হল প্রশিক্ষিত টিকাকর্মীর অভাব। একমাসব্যাপী এই কর্মসূচি চালাতে অতিরিক্ত ২৫০ টিকাকর্মীর প্রয়োজন। পুরসভার হাতে অতিরিক্ত টিকাকর্মী নেই। এদিকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী একমাস বাড়ি বাড়ি টিকা সংক্রান্ত প্রচার চালাবে পুরসভা। এই কাজ করানো হবে আশাকর্মী এবং একশোদিনের কর্মীদের দিয়ে। সেক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট বিলি করবেন তাঁরা। এক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা রয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এক লক্ষ লিফলেট দেবে। আরও চার লক্ষ লিফলেট পুরসভাকে ছাপাতে হবে। এছাড়াও একটি করে ব্যানার দেওয়া হবে প্রতিটি স্কুলে। বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে কাগজে এবং টিভিতেও। এই ব্যাপারে পুরসভার অর্থসঙ্কটের বিষয়টিও বৈঠকে উঠেছে।