আইভি আদক, হাওড়া: ডিএ নিয়ে তোপ দাগলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহ: সেলিম। শুক্রবার হাওড়ায় সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের এক সভায় তিনি বলেন, ডিএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার চিরকুট নিয়ে নাটক করছেন। আর একবার কোর্টে মিথ্যে হলফনামা দিচ্ছেন। আসলে তিনি চাইছেন কেউ প্রতিবাদ না করুক। কিন্তু গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ হবে। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে ডিএ প্রাপ্তি সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। রাজ্য সরকার পুলিশ দিয়ে এই আন্দোলনকে ভাঙতে চাইছেন। কিন্তু পুলিশও ডিএ পাচ্ছে না। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে আছি।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার বাগদার চন্দন মন্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন। এ প্রসঙ্গে মহ: সেলিম বলেন, সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়েছে, সততার প্রতীককে গ্রেফতার করতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মমতা অভিষেক শুভেন্দু মুকুল রায় সবাই যুক্ত ছিল। চন্দনের মত নাটবল্টুকে গ্রেফতার করে কোন লাভ হবে না। পুরো দুর্নীতির মেসিনারিটাকে ভাঙতে হবে। এটা সিডি বা সিবিআই নয়। সাধারণ মানুষই তা করতে পারবেন।
স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য নিয়ে মহ: সেলিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসি, কলেজ সার্ভিস কমিশন, মাদ্রাসা কমিশন, এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদে দস্যুদের বসিয়েছিলেন। বিচারপতির মন্তব্য এটা পরিষ্কার। কিন্তু সবাই দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মিকী হন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদের নিয়োগ করেছিলেন তাদের কাজ ছিল টাকা তুলে কালীঘাটে পৌঁছে দেওয়া।
হাতে জাদু দণ্ড নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য এর সমালোচনা করেন মহ: সেলিম।
তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় বড় প্রকল্পের মাধ্যমে সব করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ তিনি করলেন না। তাই তিনি এখন স্বীকার করছেন হাতে জাদু দণ্ড নেই। তবে তার হাতে লাঠি আছে। পুলিশ এবং তৃণমূলের গুন্ডারা লাঠিপেটা করছেন। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন। রাজ্য মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বাড়ছে।