গাজা, ১৬ মে: গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। যদিও হামাস প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অন্তত সাড়ে ৫ লাখের বেশি উদ্বাস্ত ফিলিস্তিনি রাফাহ শহর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। একের পর এক বিস্ফারণের আঘাতে কেঁপে ওঠে গাজা উপত্যকা। দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলেও একযোগে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বিস্ফারণের ফলে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন বেশকিছু ফিলিস্তিনি নাগরিক। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত রাফার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সাড়ে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছে। আর শহরটির উত্তরাঞ্চল থেকে জীবন বাঁচাতে আরও এক লাখ লোক পালিয়েছেন।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর লাগাতার হামলার মুখে রাফায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গাজার ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবারও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা।
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয়। গত সোমবার (৬ মে) রাফার পূর্বাঞ্চলে হামলা চালানো হবে বলে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। রাফায় লাগাতার হামলার জেরে দফায় দফায় মানুষ শহর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছে। ফের প্রাণভয়ে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ রাফাহ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিল।
অন্যদিকে, রাফাতে হামলা করলে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বাইডেন হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হামাসকে পরাজিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ইসরাইল একা লড়াই করবে।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ইসরাইলি সেনাদের হামলায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ হাজারই শিশু। আর আহতের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৭শ ৫৫ জন। গাজায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ইসরাইলি হামলার সময় অনেক এলাকায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অসংখ্য মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে।