পুবের কলম প্রতিবেদক: বাড়িতে মায়ের বকুনি খেয়ে হাতে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বের হয় হুগলির এক কিশোরী। উদ্দেশ্য হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনো। তার পর সেখান থেকে কোনোভাবে ডায়মন্ড হারবার যাওয়া। ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক বন্ধুকে সমস্ত বিষয় জানিয়ে তার সঙ্গে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এদিকে হাওড়ায় নামতেই কিশোরী এক অসৎ ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে সে। কিন্তু বছর ১৬-১৭ বছরের কিশোরী প্রথমে তার হাবভাব কিছুই বুঝতে পারেনি। তাকে নিয়ে বারাসত ট্রেনে ওঠে ওই অচেনা বয়স্ক ব্যক্তি।
ট্রেনে উঠে কিশোরীর হাতে থাকা টাকা পয়সা, পায়ের তোড়া হাতিয়ে নিয়ে চলে যায় সে। ওই ট্রেনে ছিলেন মধ্যমগ্রাম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’র এক সদস্যা। মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যমগ্রাম স্টেশনে নামিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সম্পাদিকা নূপুর ঘোষকে বিষয়টি জানান। ঘড়িতে তখন রাত ৯’টা।
সংস্থার সম্পাদিকা বারাসত জি আর পি থানায় মেয়েটিকে নিয়ে যায়। কিশোরীর হুগলির বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। খবর পাওয়া মাত্রই বাড়ির লোকেরা বারাসত জিআরপি থানায় আসে। উপযুক্ত প্রমাণপত্র দিয়ে কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় তারা।
সম্পাদিকা নূপুর ঘোষ জানান, ২৩ অক্টোবর গোটা রাজ্যের সঙ্গেই বারাসত শক্তি আরাধনায় মেতে ছিল। কিছু মানুষ আছে, যারা এই পুজো-পার্বণের সুযোগ, লোভ দেখিয়ে নানা ধরনের কুকর্মে লিপ্ত হয়। মেয়েটিকে ডায়মন্ড হারবারে পাচার করে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল।
আমাদের সংস্থা ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। চারিদিকেই শিশুদের সঙ্গে নানা ধরনের কুরুচিকর কাজ হয়ে চলেছে সমাজে। সাধারণ মানুষকেও অনেক সচেতন থাকতে হবে।
কিশোরীর বাবা ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ ও বারাসত জিআরপি থানাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।