সাহিন হোসেন,সাগরদিঘি,মুর্শিদাবাদঃ প্রয়াত হলেন মন্ত্রী সুব্রত সাহা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ২ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন সাগরদীঘির বিধায়ক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত সাহা। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়ী প্রথম নির্বাচিত বিধায়ক তিনিই।২০১১ সালে সাগরদিঘি বিধানসভা থেকে সুব্রত সাহাকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস।বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মুর্শিদাবাদ জেলার জেলা সভাপতির পদ সামলেছেন ।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব পছন্দের মানুষ ছিলেন ।
সুব্রত সাহার জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৫৩। বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন ছাত্র রাজনীতিকে হাতেখড়ি করে রাজ্য রাজনীতির পরিচিত নাম হয়ে ওঠা সুব্রত সাহা।
এদিন দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ সুব্রত সাহার মরদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে রওনা দিয়ে নিজস্ব বাসভবনে যায়।নিজস্ব বাসভবনে কিছুক্ষন থাকার পরে মন্ত্রী সাহেবের শবদেহ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শোক প্রস্তাব জানাতে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ও কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর-জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান ও মূর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়,সাংসদ আবু তাহের খান, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক। এরপর মরদেহ সাগরদিঘি বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাগরদিঘির এস.এন. হাই স্কুলের মাঠে অগণিত মানুষ শেষবারের মতো দেখতে আসেন তাদের প্রিয় বিধায়ককে।
সাগরদিঘিতে উপস্থিত হন মন্ত্রী সাবিনা ইয়েসমিন,প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাংসদ খলিলুর রহমান, সাংসদ আবু তাহের খান,জেলার বিধায়কগণ, পৌরসভার চেয়ারম্যানগণ,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বেরাজুল ইসলাম, সভাপতি দেবাশীষ ব্যানার্জী প্রমুখ।এদিন সাগরদিঘি এস এন হাই স্কুল মাঠে দল মত নির্বিশেষে জেলার হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।
এখানেই গান স্যালুট জানানো হয় মন্ত্রীকে। সাংসদ খলিলুর রহমান সুব্রত সাহার ছেলে সপ্তর্ষী সাহা ও তার পরিবারকে সমবেদনা জানান।সাংসদ বলেন সুব্রত বাবুর মৃত্যুতে জেলার রাজনৈতিক মহল তাদের অভিভাবককে হারালেন।