সুমিত দে, কলকাতা: প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা সব স্তরের চাকরি প্রার্থীরাই এদিন রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নেন। তাঁদের দাবি, রাস্তায় দিনের পর দিন বসে থাকতে থাকতে তাঁদের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে, একথা বোঝাতে এভাবে হামাগুড়ি দিচ্ছেন ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা।
হকের চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা, মামলার পর মামলা হয়েছে, তারপরও সুরাহা হয়নি তাঁদের। সরকারের আশ্বাস হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার দুপুরে হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবনের পথে এগোতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরকার তাঁদের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে। ৮-১০ বছর ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা, অথচ টাকা দিয়ে চাকরি করছেন অযোগ্যরা? এই প্রশ্ন তুলেই রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। তবে হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা এগোনোর পরই ময়দান থানার ওসি , ময়দান থানার অ্যাডিশনাল ওসি, ময়দান থানার সার্জেন্ট, সহ ময়দান থানার আরও পুলিশ কর্তারা চাকরিপ্রার্থীদের জানান, এই তীব্র গরমে তারা রাস্তায় হামাগুড়ি দিয়ে গেলে অসুস্থ হতে পারেন। রাজভবনের গেটের সামনে এইভাবে বহু সংখ্যক মানুষ জমায়েত করে যাওয়া যাবে না বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
কারণ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে রাজভবন চত্বর, সেই কারণেই ময়দান থানার তরফ থেকে অনুরোধ করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের তারা যেন পুলিশের গাড়ি করেই যান রাজভবনে ডেপুটেশন দিতে। চাকরিপ্রার্থীরা পুলিশের কথা শুনে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে পুলিশের দুটো গাড়ি করে ১১ জনের সদস্য রাজভবনের যান ডেপুটেশন জমা দিতে। চাকরি প্রার্থীরা ডেপুটেশন জমা দিয়ে পুনরায় পুলিশের গাড়িতেই ফিরে এসেছেন সকলেই।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা, সব স্তরের চাকরি প্রার্থীরাই এদিন রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নেন। তাঁদের দাবি, রাস্তায় দিনের পর দিন বসে থাকতে থাকতে তাঁদের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে, একথা বোঝাতে এভাবে হামাগুড়ি দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অবস্থার কথা জানাতে চান রাজ্যপালকে। এক চাকরি প্রার্থী বলেন, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনও সুরাহা হওয়া সম্ভব বলে মনে হয় না। আর কোনও উপায় নেই। কেউ পরীক্ষা দিয়েছে, ২০০৯ সালে, কেউ ২০১৪ সালে।