পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার রাস্তায় ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে বৈদ্যুতিক বাস। শহরতলীতেও এই পরিষেবা চালু করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এবার দূষণ ঠেকাতে জলে নামবে ইলেকট্রিক বা বৈদ্যুতিক লঞ্চ। রাজ্যের পরিবহণ দফতর ইলেকট্রিক ফেরি চালুর চেষ্টা করছে। আর তাই গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের সাহায্য নেওয়া হবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অন্যতম প্রধান এই সংস্থা দূষণমুক্ত এই লঞ্চ তৈরি করবে। তার জন্য জিআরএসই’র ডাইরেক্টর শান্তনু বসু ও রাজ্য পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, নদীতে দূষণমুক্ত ভেসেল চালানো হবে। বর্তমানে যে ধরনের ভেসেল চালানো হয় তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। জ্বালানি তেলের বদলে ইলেকট্রিক ভেসেল বা ফেরি ব্যবহার করা হবে। জাতীয় জলপথ ১ বা হলদিয়া-বারানসী জলপথেও এই পদ্ধতি চালু করা হবে। প্রতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ও সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভেসেলটি হবে ২৪ মিটার দীর্ঘ। প্রায় ১৫০জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা থাকবে ভেসেলে। এছাড়া থাকবে সোলার প্যানেল। সেখান থেকেও শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে এই ই-ভেসেল। এই ইলেকট্রিক ভেসেলের গতি ৮ নট। সর্বোচ্চ গতি ১০ নট বা ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে। এই ইলেকট্রিক ভেসেলের নকশা তৈরি করেছে জিআরএসই’র ইঞ্জিনিয়াররা।
ই-ভেসেল নিয়ে জিআরএসই’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর কমোডোর পি আর হরি জানিয়েছেন,এই প্রকল্প জলযান চলাচলে একটা বিপ্লব নিয়ে আসবে। দেশ সবদিক থেকে চেষ্টা করছে দূষণ প্রতিরোধ করার। কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর চেষ্টা চলছে সবদিক থেকে। এই জলযান যাত্রী পরিবহণ শুরু করলে মানুষের গণপরিবহণ সংক্রান্ত ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যাবে। কেন্দ্রের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় এই ইলেকট্রিক জলযান তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাস্তায় বাস চলাচলে যেমন আমরা সিএনজি’র দিকে ঝুঁকছি। তেমনই ইলেকট্রিক জলযান চালানোর চেষ্টাও আমরা করছি। দূষণ রোধ করে আরামদায়ক যাতায়াত আমাদের প্রধান লক্ষ্য।