পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটিই (জেসিপি) পারবে আদানি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করতে। সেবির তদন্তে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সোচ্চার কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ বলেন, আদানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে সেবি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি তুলেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি গ্রুপের কথিত অনিয়ম প্রকাশের প্রায় আট মাস আগে, মরিশাসের আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিশন (এফএসসি) ইমার্জিং ইন্ডিয়া ফান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (ইআইএফএম) এর ব্যসায়িক এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত লাইসেন্স বাতিলের প্রসঙ্গ তোলেন। সেবির অবস্থাকে অসহায়ত্বের আখ্যা দিয়ে বিদ্রুপ করে জয়রাম রমেশ বলেন, বিষয় হল মরিশিয়ান নিয়ন্ত্রকরা সন্দেহভাজন আদানি-সংযুক্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। যে দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে অবৈধ শেয়ার কেনার অভিযোগ সামনে এসেছে সেই দুটি সংস্থার কর্ণধার আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির অন্যতম সহযোগী ছিলেন। প্যান্ডোরা পেপারস তদন্তে উঠে আসা সংস্থাগুলি প্রকৃতপক্ষে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গেই যুক্ত ছিল৷ ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে তারা গোপনে এসব শেয়ার কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই বিনিয়োগকারীর নাম বলা হয়েছে নাসের আলি শাবান আহলি ও চ্যাং চুং-লিং। আহলি ও চ্যাং চুং-লিং বেনিয়ম করে আদানি গোষ্ঠীগুলিতে সন্দেহজনকভাবে শেয়ার বিনিয়োগ করেছে। জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করেন, এবার কি মোদির তৈরি তন্দ্রা থেকে সেবি জেগে উঠবে?
জয়রাম রমেশ তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, দেশে পুঁজিবাজারের ন্যায্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংস্থাটি (সেবি) কেন আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে?
উল্লেখ্য, আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণাকারী হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ শেয়ার দরে প্রতারণা এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তোলার পরে ১৫,০০০ কোটি ডলারের (প্রায় ১২,১৫,০০০ কোটি টাকা) শেয়ার সম্পদ হারিয়েছিল আদানিরা। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)। তবে রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলি ফের আদানিদের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি তোলে।