পুবের কলম প্রতিবেদক: তীব্র রোদের দহন থেকে বাঁচতে স্বস্তির বৃষ্টি কামনা করছিল কলকাতাবাসী। কিন্তু বর্ষাকাল বলতেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে শহরের চেনা জলছবি। এবারেও লোকমুখে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, এই বর্ষাকালে কলকাতা কি তবে ফের ভাসতে চলেছে! পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, নিকাশির পরিকাঠামোর জল ধারণ ক্ষমতার বেশি বৃষ্টি হলে জল জমবেই শহরে। তবে নতুন যন্ত্র কিনে নিকাশিব্যবস্থাকে উন্নত করা হয়েছে, তাই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জল নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে মেয়রের আশ্বাস, তিন দিন নয়, বৃষ্টি শেষের তিন ঘণ্টার মধ্যেই জমা জল নামিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ভোগান্তি পোহাতে হবে না নাগরিকদের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে। এর ফলে ভাসতে পারে কলকাতার একাধিক এলাকার, এমনই আশঙ্কা করছেন অনেকেই। যদিও বৃষ্টি চলাকালীন দ্রুত জল বের করে দেওয়ার জন্যও কলকাতা পুরসভার তরফে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
নিকাশি বিভাগ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভাতে ৭৭টি পাম্পিং স্টেশনে ৪১৫টি পাম্প রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাম্পকে সক্রিয় রাখা হবে শহরের জল নিষ্কাশনের জন্য। পাম্পিং মেশিন সক্রিয় রাখার পরেও কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল জমে, যা পুর প্রশাসনের কর্তাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে বহুবার। সেই কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কলকাতার সংশ্লিষ্ট অংশগুলিতে ৬৫০ থেকে ৭০০টি পোর্টেবল পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে বৃষ্টির কারণে জল জমলেও দ্রুত তা নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad hakim) বলেন, ‘শহরজুড়ে জল নিকাশি ব্যবস্থার ঢালোয়া পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। পাম্প বসানো, নালার কাজ করা, সবই সাধ্য মতো করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে এক-দু’ঘণ্টার মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জমা জলের পরিমাণ বাড়ছে। যেটা তখনই বার করা সম্ভব নয়। তবে চার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা থেকে জল বের করে দেওয়া হচ্ছে। আগে তিন-চার দিন জল জমে থাকত, এখন চার-পাঁচ ঘণ্টায় জল নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’