পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গাজা উপত্যকায় গত কয়েকদিন ধরে চলা সংঘাত থামাতে মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরাইলি সেনা ও ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী আন্দোলন ইসলামিক জিহাদ। রবিবার স্থানীয় সময় সাড়ে আটটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদের কার্যালয়ও।
তবে এর খানিক পরেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বিমান থেকে গাজায় বোমা ফেলে ইসরাইল। গত শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ শুরু করে ইসরাইলি সেনা। এর জবাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদও ইসরাইলকে তাক করে ৭০০ রকেট নিক্ষেপ করে। এ সংঘাতে এখনও পর্যন্ত ১৫ শিশু ও চার নারীসহ অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে ইসরাইলের কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তেল আবিব বলছে, এই হামলা নাকি আত্মরক্ষামূলক। নিহতদের মধ্যে ইসলামিক জিহাদের দুই শীর্ষ কমান্ডার রয়েছেন। ইসরাইলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৩১১ জন। সূত্রের খবর, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় বেশ কিছু আবাসিক ভবন মাটিতে মিশে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অনেক বাড়ি-ঘর। এই সংঘাতের আগে গত বছরের মে মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে লড়াই বাধে। সেবারও মিশরের মধ্যস্থতায় ১১দিন পর উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ওই লড়াইয়ে শতাধিক নারী ও শিশুসহ ফিলিস্তিনের অন্তত ২৫০ জন নিহত হয়েছিলেন।
তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর তেল আবিবের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মানবাধিকারকর্মীরা। ইসরাইলের অবশ্য দাবি, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর রকেট হামলার জবাবে এই হামলা চালিয়েছে তারা।
মজলুম ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন করে শুরু হওয়া যায়নবাদী আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বহু দেশ ও সংস্থা। ইসরাইলকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ ও ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে ডাকছেন অনেকে। হামাস ইসরাইলকে এ নিয়ে চরম সতর্কতা দিয়েছে। ইরান হুমকি দিয়ে বলেছে, এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ইসরাইল একদিন ধ্বংস হবেই। তবে বরাবরের মতোই এবারও নিরীহদের ওপর ইসরাইলের হামলা দেখে নীরব পশ্চিমা বিশ্ব।