পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি ওহ মারপিট হয়েছিল একথা সবাই জানে। অল্প হলেও তারই খানিকটা পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কলকাতা পুর অধিবেশনে। তৃণমূল বিজেপি কাউন্সিলররা পরস্পর হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন। ঝামেলা থামাতে না পেরে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। রয়ে গেলেন ফিরহাদ হাকিম। দু’পক্ষের যুযুধান লড়াই থামাতে কার্যত হিমশিম হয়ে পড়লেন তিনি। পরে যদিও পুরসদস্যদের অনুরোধে ফিরে আসেন মালা রায়।
জানা গেছে, শনিবার পুরসভার সাপ্তাহিক অধিবেশনে প্রথমে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সঙ্গে বচসা বাঁধে তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুর সঙ্গে। বাকবিতণ্ডা চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে হঠাৎই দুই কাউন্সিলর মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। একটা পর্যায়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সজল। পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা এবং বোরো চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে ক্রুদ্ধ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে চেয়ারপার্সন ফিরে এলে অধিবেশন শুরু হয়। বক্তব্য রাখা শুরু করেন মেয়র। কিন্তু সজলের উপর ‘আক্রমণে’র অভিযোগ তুলে অধিবেশন বয়কট করেন বিজেপি কাউন্সিলরেরা। ঘটনায় নিন্দা সবমহলে।
সজল ঘোষ বলেন, ‘অসীম বসু আগে বিজেপি করত। এখন নতুন তৃণমূল প্রমাণ করতে হাতাহাতি এবং অশ্লীল গালাগালি দিচ্ছেন। বাংলায় গণতন্ত্র কোথায়? ধাক্কাধাক্কি করছেন, কলার ধরেছেন। মেয়র বসে দেখছেন। এটা কী প্রহসন চলছে।
অসীম বসুর কথায়, সজল ভালো ছেলে,ছোট ভাই। কিন্তু উক্তত্য করে।’ ও নিজেও কাউন্সিলর। হতে পারে অন্য দলের। সকলেরই পরিবার আছে। কাউন্সিরলরা অন্য গ্রহ থেকে আসেনি। এভাবে চোর চোর বলে মেলাইন করছে। ও কি সাধু? এভাবে চোর বললেএরকম প্রতিক্রিয়া বারবার হবে। কোনও ধাক্কা-মারামারি হয়নি। কেবল প্রতিক্রিয়া মাত্র।