পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় গিট হাব প্ল্যাটফর্মে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপের মাধ্যমে যে ন্যক্কারজনক ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছিল মুসলিম মহিলাদের ছবি পোস্ট করে সেই মামলায় বুধবার গ্রেফতার হয়েছে মৈনাক রাউল নামে ২১ বছরের এক যুবক। মুম্বই পুলিশ মৈনাককে উত্তরাখন্ড থেকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে দু’জন কুচক্রিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের সাইবার সেল।
১৯ বছরের শ্বেতা সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছিল উত্তরাখন্ড থেকে আর ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বিশাল কুমার ঝাকে গ্রেফতার করা হয় বেঙ্গালুরু থেকে। মুম্বই পুলিশের কমিশনার হেমন্ত নাগরালে জানান– তৃতীয় অভিযুক্ত মৈনাক শ্বেতা সিংয়ের বন্ধু। তবে তদন্ত চলছে। আরও বেশি লোক জড়িয়ে রয়েছে এই ষড়যন্ত্রে।
অপরদিকে উত্তরাখন্ড পুলিশের পক্ষ থেকে এই মামলায় জানানো হয়েছে রুদ্রপুরের বাসিন্দা শ্বেতা সিং দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। করোনায় সম্প্রতি পিতাকে হারিয়েছে সে। তার মা আগেই মারা গিয়েছেন। তাই অর্থের লোভে শ্বেতা এই কাজ করে থাকতে পারে।
উত্তরাখন্ডের ডিজিপি অশোক কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন– শ্বেতাকে মুখ্য আরোপী বলা হচ্ছে। রুদ্রপুর থানা থেকে শ্বেতাকে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মুম্বই পুলিশ উত্তরাখন্ডের ডিজিপি-র গরিব পরিবারের মেয়ে বক্তব্য নিয়ে বলেন– বর্তমান মামলায় এই ধরনের মন্তব্যের কোনও প্রয়োজন ছিল না। আমরা অন্য রাজ্যের পুলিশের বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছি না।
এদিকে ব্যাঙ্গালুরুর দয়ানন্দ সাগর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র বিশাল কুমারকে গ্রেফতার করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে– দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করা দরকার। আমরা এখনই কোনও আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইছি না। এমনকি কোনও কমিটিও তৈরি হচ্ছে না এই বিষয়ে।
এ অভিযুক্ত হলে কোনও পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই প্রসঙ্গে কলেজ জানায়– এটা র্যাগিং নয়– সাইবার অপরাধ। তাছাড়া তার অপরাধ এখনও প্রমাণিত নয়। উল্লেখ্য– মুম্বই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ছয়টি ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া দিল্লি ও হায়দরাবাদে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন বুল্লি বাই অ্যাপে ছবি পোস্ট করা হয়েছে এমন কয়েকজন মহিলাদের পক্ষ থেকে। এইসব মহিলারা সকলেই কোনও না কোনও বিষয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন এবং অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয়। মুম্বই পুলিশ মনে করছে এই চক্রের পিছনে বড় মাথা কাজ করছে তবে শীঘ্রই তাদের কাছে পৌঁছতে পারবে তারা বলে মনে করছে সাইবার ক্রাইম শাখা।