ইস্তান্বুল, ১৩ জানুয়ারি: আবারও ইয়েমেনে হু্থি আনসারুল্লাহ বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন জোট। ওয়াশিংটন বলেছে, সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজে হুথিদের হামলার সক্ষমতা ধ্বংস করাই এই হামলার উদ্দেশ্য। জানা গিয়েছে, হুথি অধ্যুষিত সানাসহ ইয়েমেনের তাইজ ও হুদায়দাহ অঞ্চলে হামলা চলেছে। হুথিদের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয় মিসাইল। এর পাশাপাশি যুদ্ধবিমান থেকে করা হয় বোমা হামলা। ওয়াশিংটন জানায়, ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্র সরবরাহ কেন্দ্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। নতুন করে ইয়েমেনের অন্তত ৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে মার্কিন জোট।
আনসারুল্লাহ মুখপাত্র আধুল কাদের আল-মোর্তজা জানিয়েছেন, ‘ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হুদায়দাহ, সা’দা ও ধামার শহরে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।’ এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইয়েমেনি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মার্কিন জোট। এরই প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা ও ব্রিটেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ইয়েমেনে হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ওরা লোহিত সাগরকে ‘রক্তের সাগরে’ পরিণত করতে চায়।
শুক্রবার ইস্তান্বুলে এরদোগান বলেন, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ শক্তি প্রয়োগ করেছে। গাজায় একই ধরনের শক্তি প্রয়োগের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেন এরদোগান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, শুক্রবার আমেরিকার বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইয়েমেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এরদোগান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়েছি যে, হুথিরা আত্মরক্ষার জন্য অত্যন্ত সফল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন উভয়ের হামলা সাফল্যের সাথে প্রতিহত করেছে।’
এদিকে, ইয়েমেনে মার্কিন জোটের হামলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এবার প্রশ্ন উঠেছে এ হামলার বৈধতা নিয়ে। বেশকিছু মার্কিন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রনেতা এরই মধ্যে এই হামলার বৈধতা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। তাদের দাবি, এই হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন সংবিধানের আর্টিকেল-১ ভঙ্গ করেছেন। হামলা শুরুর আগে বাইডেনের কংগ্রেসের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।