পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দু দশক পরে ফের গতকাল রবিবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করল তালিবানরা। কাবুলে কোনও হামলা হবেনা এই শর্তে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। এরপরেই ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশত্যাগ করেন।
তবে রবিবারই যে কাবুলের দখল নেবে তালিবানরা সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছিল জালালাবাদ দখলের পরেই। উল্লেখ্য মার্কিন গোয়েন্দারা কিন্তু আগেই এক রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে ৯০ দিনের মধ্যে তালিবানরা দখল করে নিতে পারে আফগানিস্তানের ক্ষমতা।
এখন একটু ফিরে দেখা যাক সেই ২০০১ সালের প্রেক্ষাপট।যুদ্ধের মাধ্যমে ২০০১ সালে আফগানিস্তান থেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল তালিবানদের।
যাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ বছর ধরে যুদ্ধ চলেছে, সেই তালিবানের সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার সন্ধি করেছে। আর সেই পটভূমিতেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের জীবন গেছে, লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তিতে তালিবানরা অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা আফগানিস্তানকে আর এমন কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটি হতে দেবে না, যারা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
কিন্তু চুক্তির পর আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্যরা বিদায় নেয়া শুরু করার পর থেকেই তালিবানরা খুব দ্রুত আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বিভিন্ন এলাকা দখল করা শুরু করে।
এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে অন্তঃবর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর।
আমির আল মুমিনিনঃ ইনি প্রাক্তন তালিবান প্রধান বিচারপতি। ২০১৬ সাল থেকে নেতা। রাজনৈতিক,ধর্মীয় এবং সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব তাঁর হাতে।
মোল্লাহ আবদুল হাকিমঃ সিনিয়র বিচারক, তালিবানি বিচার ব্যবস্থা তদারক করেন। দোহার আলোচনায় নেতৃত্ব দেন।
মোল্লা আবদুল গনি বরাদরঃ তালিবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা, দোহার রাজনৈতিক অফিসের প্রধান।
মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবঃ তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে। সামরিক অধিনায়ক।
সিরাজুদ্দীন হাক্কানিঃ হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান
রাহবারি শুরাঃ তালিবানের ২৬ সদস্যের সর্বোচ্চ সিন্ধান্ত গ্রহণ কর্তৃপক্ষ।