পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের চালানো গণহত্যা ও যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিকস জোটের নেতারা। তাঁরা অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় মানবিক সংকট কমাতে উভয় পক্ষের শত্রুতা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বিশ্বের প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির ৫ দেশের জোট ব্রিকসের নেতারা মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয় সম্মেলনে।
গাজার মধ্যে বা বাইরে ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করাকে জোটের অনেক নেতা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেন। সম্মেলন শেষে জোট কোনও যৌথ ঘোষণা দেয়নি। তবে সম্মেলন থেকে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে যেকোনও ধরনের স্থানান্তর ও বিতাড়নের নিন্দা জানাই আমরা। ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও বিতাড়ন, তা গাজার অভ্যন্তরে হোক বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে হোক, সেটা জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।’ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ব্রিকস জোট গঠিত। তারা দীর্ঘদিনের পশ্চিমা আধিপত্যের বিপরীতে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টায় রয়েছে।
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে প্রায়ই ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর নেতা হিসেবে দেখা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিকস তার সদস্য সংখ্যা বাড়াতে সম্মত হয়। আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে সদস্য হিসেবে জোটে যুক্ত করতে রাজি হয়েছে ব্রিকস। ব্রিকসে এই ছয় দেশের সদস্যপদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হবে।
এই ছয় দেশের নেতারাও দক্ষিণ আফ্রিকার ডাকা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরাও ফিলিস্তিনে ইসরাইলের যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন। সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও যোগ দিয়েছিলেন।