পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ৯ নভেম্বর ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। এর আগে, ৯ অক্টোবর অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। সে সময় ইডির তলবে হাজিরা দেননি অভিষেক। বরং ইডির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের কেন্দ্রীয় সংস্থার নোটিশ অভিষেকের দফতরে। সোমবার, তাঁর জন্মদিনেই পাঠানো হয়েছে এই নোটিশ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দফতরে যাবেন। এই নিয়ে চলতি বছরের ২০ মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাসে অভিষেককে ৬ বার তলব করেছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এহেন তলবকে চক্রান্ত অভিহিত করে রাজ্যের মহিলা শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের উপহার দিয়েছে ইডি গতকাল রাতে। তৃণমূল কংগ্রেস হল বিজেপির টার্গেট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ডাক, পরে নবজোয়ার যখন জনজোয়ার হয়েছে তখন ডাক। সামনে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত অবিজেপি দলগুলিকে ডাকা হবে।’
শশী পাঁজার আরও দাবি, ‘ইডির তলব দূরের কথা বিজেপির যাদের অর্থ বেড়েছে কোনও ভাবে নোটিশও পৌঁছয় না তাঁদের কাছে। প্রতিদিন প্রমাণ করছে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্থা। এখন নতুন যোগ করছে, ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াব। কাকতালীয় ঘটনা। পুজোর মধ্যে দেখা গেল একজন মন্ত্রীকে ডেকে জেলে পাঠাল। সামনে কালী পুজো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পুজো হয়। ফের এখন তলব।’
শশী পাঁজা আরো বলেন, এটা এমন একটা ইনভেস্টিগেশন যার কোনও শেষ নেই। আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই যাবেন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তিনি জনপ্রতিনিধি, আইটি ফাইল রয়েছে। সবটাই পাবলিক ডোমেনে রয়েছে। সামনে নির্বাচন। তাঁর প্রচার থেকে যাতে বিরত থাকেন, তার জন্য বিব্রত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। দলকে কালিমালিপ্ত করা, বাংলাকে খারাপ করা, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই এটা করছে ওরা।
সোমবারও বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।