পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পিএম জয় স্কিমে যোগা, আয়ুর্বেদ, ন্যাচরাপ্যাথি, সিদ্ধা, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি যুক্ত করা হোক। কেবলমাত্র অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার উপর ভরসা করা হবে কেন? এই দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপির আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। হাইকোর্ট এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে। হাইকোর্ট অভিমত চেয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, আয়ুষ মন্ত্রক, দিল্লি সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই।
প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা বা পিএম জয় স্কিমে একটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা পাবে। দেশের ১২ কোটি মানুষকে এই স্কিমের আওতায় আনার কথা। আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল ও দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার এই স্কিমের সুবিধা পাবে।
এটিকে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা স্কিম বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৫৫ কোটি মানুষ এই স্বাস্থ্য সুরক্ষা স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করতে থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে আবেদনকারীর যুক্তি, দেশের এত বড় স্কিমে কেবলমাত্র অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা যুক্ত থাকবে কেন? আয়ুষকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হোক। অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকেন্দ্র শুধুমাত্র এই সুবিধা ভোগ করবে আর যোগা, আয়ুর্বেদ, ন্যাচরাপ্যাথি, সিদ্ধা, হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসকরা এতে যুক্ত হতে পারবে না কেন? সুচিকিৎসার মানে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা। হাইকোর্ট সরকারের অভিমত জানতে চেয়েছে।
এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি পরের বছর জানুয়ারি মাসে। উল্লেখ্য, বিজেপি সরকারের আমলে অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে যুক্ত আয়ুষকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার জন্য চেষ্টা হয়েছে কিন্তু প্রতিবাদ উঠেছে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা মহল থেকে। কঠিন ও জটিল চিকিৎসা বিশেষ করে সার্জারি কীভাবে সম্ভব অ্যালোপ্যাথিদের বাদ দিয়ে। এমবিবিএস পড়ুয়ারা স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসব সিলেবাস অনুসরণ করে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় সেসব থাকে না আয়ুষের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতিতে। তবুও, সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সরকার এমবিবিএস ডাক্তারদের সমান বেতন ও সুবিধা ধার্য করেছে আয়ুষদের জন্য। এ সবের পর এবার দাবি উঠেছে, পিএম জয় স্কিমে সামিল করতে হবে আয়ুষদের।