পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বদলে গেল রাজস্থানের নির্বাচনী দিনক্ষণ। ২৩ নভেম্বরের বদলে বিধানসভা ভোটের নয়া দিন ঘোষিত হয়েছে ২৫ নভেম্বর। ভোট গ্রহণের দিন বদল হলেও ফলাফল ঘোষণা নির্ধারিত দিনেই হবে বলে জানা গিয়েছে। ২৩ নভেম্বর দেবউটনি গ্যারস। ভগবান ৪ মাস পর যোগ নিন্দা থেকে জাগ্রত হবেন। তারপরই শুরু হয় সমস্ত শুভ কাজ। ভগবান যোগ নিন্দায় থাকলে সব শুভ কাজ বন্ধ থাকে। ভারতীয় হিন্দুদের ধর্মীয় ‘আস্থা’ এই দিনে বিয়ে করলে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। দেব উটনি গ্যারস এবং আখাটি তিজ এই দুটি তিথি সবসময়ই শুভ বলে বিবেচিত হয়। ওই দিনে রাজস্থানজুড়ে হাজার হাজার জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিষয়টি মাথায় ছিল না নির্বাচন কমিশনের! অন্যদিকে, সময় নষ্ট না করে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে দিন বদলের আর্জি নিয়ে! এই সময় রাজস্থানজুড়ে আনুমানিক ৪৫ হাজারের মতো বিবাহের অনুষ্ঠান হবে।
শেষ পর্যন্ত রাজস্থানে ভোটের তারিখ বদলাতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, দিন ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশন কী ঘুমোচ্ছিল? ভারতের নির্বাচন কমিশনও কি ভারতের প্রথা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন নয়? দিন ঘোষণার আগে এসব দেখা সঙ্গত মনে করে না? অন্তত এটা তো ভাবা উচিত, এত বিপুল সংখ্যক বিয়ে যখন হতে চলেছে, সেই দিন কেউ কীভাবে ভোট দিতে আসবে? এরফলে ভোটের হার কমতে বাধ্য!
কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের বহু সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল এমনকি সংবাদ মাধ্যমও বিষয়টি তুলে ধরেছে। তাদের সবার অনুরোধ ভোটের দিন বদল করা হোক। কারণ ওই দিন প্রচুর বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি বেশকিছু সামাজিক অনুষ্ঠান রয়েছে। ফলে এতে যাতায়াত-বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় বহু মানুষের সমস্যা হবে।’
এর আগে কমিশন রাজস্থানে ২৩শে নভেম্বর ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত বদলও করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। যখন কোনও স্বাধীন সংস্থা শাসকের অধীনস্ত হয়ে পড়ে তখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
নির্বাচনের দিন যে কারণেই পিছিয়ে যাক না কেন, তাতে রাজনৈতিক দলগুলিই সবথেকে সুবিধা পাবে। নির্বাচনী প্রচারের জন্য আরও দু’দিন সময় পাবে তারা। ২৩ নভেম্বর বিকেল ৪টেয় প্রচার পর্ব শেষ হবে। দিন পিছিয়ে যাওয়ায় কংগ্রেস খুশি। কারণ পিতৃপক্ষের কারণে তারা এখনও পর্যন্ত তাদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেনি। রাহুল গান্ধি ২৪ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন, রাজস্থানে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে কড়া টক্কর হবে। তবে তিনি কংগ্রেসের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের ২০০ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে, বিজেপি ৪১ টি আসনের জন্য তাদের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ওয়াকিফহাল মহলের ধারণা, নবরাত্রি কাটার পর কংগ্রেস প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে পারে। তারপরই দুই পক্ষের নির্বাচনী প্রচার চরমে পৌঁছবে।