পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লাদাখ অটোনমাস পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদের ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টিতে ভোট হয় ৪ অক্টোবর। সকলে ছিল লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দল বিজেপির সমর্থনে কতটা জোরালো বান দেখা দেবে ভোটের ফলে। কেননা লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ঘোষণার পর লাড্ডু বিলির ছবি ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছিল গেরুয়া মহলে, পোর্টালে ও সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু বান তো দূরের কথা জোয়ারও দেখা গেল না। গতবারের থেকে একটি বেশি ভোট পেয়ে খুশি প্রকাশ করছে বিজেপি। গতবার পেয়েছিল একটি আর এবার ২টি। ৩৭০ ধারা রদের পর বিজেপির পক্ষে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও কারগিল অঞ্চলের মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন দেখা যাবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বিজেপি নিজেও ভাবেনি যে কংগ্রেস এনসিপি জোট এভাবে জয়ী হবে। লোকসভা ভোটের ও পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে এই জয় অক্সিজেন যোগাবে ইন্ডিয়া জোটকে। এই জোট ২২টি আসন জিতে নিয়েছে। বিজেপি দাঁড় করিয়েছিল লাদাখের বড় নেতা হাজি এনায়েত আলিকে। তিনিও ৩৬০ ভোটে হেরে গেছেন। নির্দলরা জয়ী হয়েছে এখানে ২টি আসনে।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই ফল নিয়ে বলেন, লাদাখের মানুষের ইচ্ছা মেনে এই ভাগ বাঁটোয়ারা হয়নি। জোর করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে আর তার ফল পাওয়া গেল এই পার্বত্য পরিষদের ভোটে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক কাজের জবাব পাওয়া গেল এই ভোটে। কংগ্রেস জানায়, শুধু কারগিল কেন যতগুলি ভোট হবে সবেতেই এই দশা হবে বিজেপির। আমআদমি পার্টি এখানে প্রার্থী দিয়েছিল কিন্তু সুবিধা করতে পারল না। ২০১৮ সালে বিজেপি পেয়েছিল ১টি আর পিডিপি ২। এবার মেহবুবার পিডিপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। বিজেপি এবার ১৭ জন প্রার্থী দিয়েছিল কিন্তু দু’টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের। এই ভোটের ফলের প্রভাব জম্মু-কাশ্মীরের ভোটে পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন তাই জম্মু-কাশ্মীরের ভোট আরও পিছিয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি আপ্রাণ চেষ্টা করছিল এই এলাকায় প্রভাব বাড়াতে কিন্তু এই পার্র্বত্য পরিষদের ফলে জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির।