পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাগরণ যাত্রায় (মিছিল) শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিলেন । ৫ থেকে ৮ অক্টোবরের মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে সর্বোচ্চ ২০টি বাইক ও তিনটে ট্রাকে ট্যাবলো সাজিয়ে মিছিল আসবে। সর্বোচ্চ ২০০ জনের বেশি লোক কোনও মিছিলে থাকবে না। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল যাবে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের আরও নির্দেশ, -‘মিছিল থেকে শব্দ বিধি মেনে মাইক বাজানো যাবে। তবে মিছিল থেকে কোনও উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়া যাবে না’। জাতীয় বা রাজ্য সড়কের অর্ধেক জুড়ে মিছিল করা যাবে না বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৮ অক্টোবর, রবিবার রাণী রাসমণি মোড়ে সভায় দু’হাজারের বেশি লোকের বেশি জমায়েত করা যাবে না। উত্তরবঙ্গের চারটি জেলা থেকে একইভাবে মিছিল আসবে কলকাতায়। প্রতি জেলায় পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিটি জেলার এসপি/ কমিশনারদের এই মিছিল নিয়ে নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রয়োজনে রুট পরিবর্তন করতে হলে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে করতে হবে। কলকাতার মিছিলে চারটে ম্যাটাডোর, ৩০টি বাইক, ১০টি ট্রাক নিয়ে মিছিল করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত।৪ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর রাজ্যের একাধিক জেলায় ‘জাগরণ যাত্রা’র আয়োজন করছে বজরং দল। সেক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছিল, পুজোর মরশুমে যখন প্রচুর মানুষ বাজার করতে বেরোন, তখন রাস্তায় এমন আয়োজন হলে সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষজন।
এই ‘জাগরণ যাত্রা’ বা মিছিলের কারণে জনজীবন বিধ্বস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই নিয়েই মামলা গড়ায় আদালতে। বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন এই আয়োজনের জন্য। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৫ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে ‘জাগরণ যাত্রা’র মিছিল আসতে পারবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০টি বাইক ও তিনটি ট্রাকে ট্যাবলো সাজিয়ে মিছিল করতে হবে। এক একটি মিছিলে সর্বোচ্চ ২০০ জন থাকতে পারবেন। কোনওভাবেই যেন ২০০ জনের বেশি লোক না হয় কোনও মিছিলে।
গোটা মিছিলের আয়োজন করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে এবং মিছিল থেকে মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলতে হবে শব্দবিধি। মিছিল থেকে যাতে কোনও উস্কানিমূলক স্লোগান না ওঠে, সেই নির্দেশও দিয়ে রেখেছে আদালত।
কোনও মিছিলের জন্য যাতে রাজ্য সড়ক কিংবা জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির অর্ধেক আটকে না যায়, সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।