পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষ যত ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে ততই বাড়ছে সাইবার প্রতারণার ঝুঁকি। কোনও সুযোগই যেনো ছাড়ছে না প্রতারকরা। সর্বত্র পাতা ফাঁদে ওঁত পেতে রয়েছে তাঁরা। সামান্য অসাবধনতার ফলে ঘটতে পারে বিপদ। কখনও গিফট ভাউচার দেওয়ার নামে ফোনে লিংক পাঠানো হচ্ছে। আবার কখনও নানা অজুহাতে ওটিপি পাঠিয়ে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। লিংকে ক্লিক বা ওটিপি দিলেই মুহূর্তে খোয়া যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নিজের জমানো টাকা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপগ্রেড হচ্ছে সাইবার প্রতারকরাও। এবার এক নতুন উপায় অবলম্বন করছে তাঁরা। তাই কোনও ফোন রিসিভ করার আগে সাবধান।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের এক মহিলার ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। মহিলা ফোন ধরতেই তাঁকে জানানো হয়, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। ঠিক ১০ সেকেন্ডের মধ্যে মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে ৯,৯৯৯ টাকা কেটে নেওয়া হয়। ওই মহিলা ১৯-২০ সেকেন্ড ফোনে কথা বলেছিলেন। মহিলার ফোন থেকে পরপর ২ বার ১০ হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হয়।
কোনও লিঙ্ক বা ওটিপি ছাড়াই শুধুমাত্র এক ফোন কলেই কীভাবে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা? প্রতারকদের নয়া টেকনিকে তাজ্জব হচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরাও। এক সাইবার বিশেষজ্ঞ অবশ্য বলছেন, অপরাধীরা সম্ভবত বিদেশে বসে এই কাজ করছে। যখন কেউ ফোন রিসিভ করছে, তখন ওপার থেকে নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। ওই কয়েক সেকেন্ড কথোপকথনের মধ্যেই ডি-কোড করা হচ্ছে ফোনের সেটিংস। এরপরই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এ ক্ষেত্রে ওটিপি বা কোডের প্রয়োজন হচ্ছে না, আরও উন্নত উপায়ে টাকা লুট করা হচ্ছে।
এধরণের প্রতারণার শিকার হওয়ার আগে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় ফোন নম্বর ছাড়া অন্য কোনও নম্বরের ফোন রিসিভ না করাই ভাল। ভারতীয় নম্বরের আগে থাকে ৯১- এই দুই সংখ্যা। সেটা না থাকলে কোনও অচেনা নম্বরের ফোন না তোলার পরামর্শই দিচ্ছেন তাঁরা।