পুবের কলম প্রতিবেদক: বর্ষা আসতেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গ। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর দশেকের এক বালিকার। এরপরেই বুধবার পুরভবনে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বোরো চেয়ারম্যানরাও। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার গাছাড়া মনোভাবের কথা। এদিন প্রায় প্রত্যেক বোরো চেয়ারম্যানেরই অভিযোগ ছিল, বারবার বলেও নোটিশ দেওয়ার পরে ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলির তরফে কোন সদুত্তর আসেনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তিন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে কোর্টে কেস করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার এমনটা স্পষ্ট করেন ফিরহাদ হাকিম।
এদিন বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন ১০ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস, ৩ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউত এবং ৯ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান দেবলীনা বিশ্বাস। এদের প্রত্যেকের অভিযোগ ছিল, ভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। রেল, আর্মির জায়গা যথেস্বচ্ছভাবে নোংরা হয়ে পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেন ১০ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান।
একইভাবে, ৩ নম্বর বোরো চেয়ারম্যানের অভিযোগ, তার এলাকায় অবস্থিত কোল ইন্ডিয়া। তাদের বহু পুরনো গাড়ি পরে থাকে। জল জমে মশার উৎপাত হচ্ছে। বারবার বলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কোল ইন্ডিয়া। অন্যদিকে, এদিন জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে বেনিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান। একইভাবে এক্ষেত্রেও পুরসভার নোটিসের তোয়াক্কা করেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিনের এই অভিযোগের ভিত্তিতে, জাতীয় গ্রন্থাগার, কোল ইন্ডিয়া ও সেন্ট্রাল পিডব্লিউডি এর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ডেঙ্গু রোধে কোন রাজনীতির রং বা প্রভাবশালী কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট করেছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও।
এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু রাজ্য সরকারি জায়গাতেও বেনিয়মের অভিযোগ থাকায়, সেই সমস্ত সংস্থাকেও নোটিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে পুর আইনের ৪৯৬ এ ধারায় ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের কাছ থেকে এক লক্ষের বেশি টাকা ফাইন করেছে পুর কর্তৃপক্ষ।