সামিম আহমেদ, সুন্দরবন: পেটের দায়ে জঙ্গলে যায় সুন্দরবনের মানুষেরা। জঙ্গলে প্রতি মুহূর্তে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাও সংসার চালাতে কাঁকড়া-মাছ-মধু সংগ্রহ করতে যেতেই হয়। আকসার সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবীদের প্রাণ যাওয়ার খবর সামনে এসেছে। এবার প্রাণ গেল এক কাঁকড়া শিকারির। স্ত্রীর সামনেই বাঘে টেনে নিয়ে গেল তাকে। সেই খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের বাকি সদস্যও।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ৯ জুলাই কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের কুস্তরী খাল এলাকায় যান কাকদ্বীপ থানার অন্তর্গত গণেশনগর এলাকার বাসিন্দা অনেশ্বর ফকির (৫৬) ও তাঁর স্ত্রী ভগবতী ফকির (৪২)। রবিবার বিকালে ভগবতী ফকির জানান যে অনেশ্বরকে বাঘে টেনে নিয়ে গিয়েছে। এই খবর শোনা মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই ওই মৎস্যজীবীর। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ থানা ও বন দফতরকে বিষয়টিকে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির বউমা বলেন, ‘আমাদের এখানের অনেক লোকজনই কাঁকড়া ধরতে যায়। ভোটের পরের দিন আমার শ্বশুর আর শাশুড়ি গিয়েছিলেন। প্রতিদিন ফোনে কথা হয়। কালকেও ফোন করেছিলেন। এরপর বেলা তিনটে নাগাদ আমার শাশুড়ি ফোনে বলেন, তোমার শ্বশুরকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে বাঘে টেনে নিয়ে গেছে। পাশের আরও এক প্রতিবেশী বলেন, ‘ওনার স্ত্রী ফোন করে জানান যে স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ খবর পাঠানো হয় কাকদ্বীপ থানায় ও বন দফতরে। ওই মৎস্যজীবীর খোঁজ শুরু করেছে প্রশাসন ও বন দফতরের কর্মীরা।