পুবের কলম প্রতিবেদক: ভালো চিকিৎসা পরিষেবার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতাল। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তালিকায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম হল বালুরঘাটের গ্রামীন হাসপাতাল ।
চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে গুণগত মানের নিরিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেরার তকমা পেল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। আর তাঁদের সরকারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজকে স্বীকৃতি দিল। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এই প্রথম রাজ্যের কোনও হাসপাতাল একসঙ্গে তিনটি প্রকল্পে পাশ করল। হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম পরিদর্শনের পরেই এই পুরষ্কার হাতে এসেছে।
এমনকী আগামী তিন বছরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালকে ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগেও এই হাসপাতাল কায়া প্রকল্পে সেরার শিরোপা পেয়েছিল। এবারও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক পুরষ্কার ঘোষণা করতেই হাসপাতালে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, ‘রাজ্যে এই প্রথম কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তিনটি প্রকল্পেই সেরা হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। ওই তিন প্রকল্পে হাসপাতালের প্রসূতি, শিশু, ইমারজেন্সি, সহ ১৬টি বিভাগের গুণগত মান দেখে সার্টিফিকেট দেয়। আগে কোনও হাসপাতাল একত্রে এতগুলি সার্টিফিকেট পায়নি। এটা আমাদের বড় সাফল্য।’ তবে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগের কথায়, ‘এখন হাসপাতাল অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে। তবে এই সম্মান ধরে রাখতে হবে। মানুষের অভিযোগ নির্মুল করে ১০০ শতাংশ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এই বিষয়ে শুক্রবার পুবের কলমকে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, রাজ্যের হাসপাতালগুলি ভালো কাজ করছে। এর মধ্যে বালুরঘাট হাসপাতালকে সেরা তকমা দেওয়া হয়েছে। এই সার্টিফিক্টেট স্বাস্থ্য দফতরকেও পাঠানো হয়েছে।
মে মাসে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছিল। তিনদিন ধরে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ ঘুরে দেখেন তাঁরা। ওই প্রতিনিধি দল রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। তারপর রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এনকিউএএস প্রকল্পে হাসপাতালের সব বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো, গুণমান যাচাই করা হয়। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ খতিয়ে দেখা এবং মুসকান প্রকল্পে শিশু বিভাগ নিয়ে সরেজমিনে দেখা। এরপর সব বিষয় খতিয়ে দেখে নম্বর দেয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। সেই রিপোর্টের পর বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল তিনটি প্রকল্পে যথাক্রমে ৯৬, ৯৪ এবং ৯৩ শতাংশ নম্বর পায়। এর জন্য এই সাফল্য মিলেছে।