বিমানবন্দর থেকে আবদুল ওদুদ
মঙ্গলবার সকাল দশটা দশ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালেন বাংলার হাজিরা। সকাল আটটা থেকেই কলকাতা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন কয়েকশত মানুষ ।রাজ্য হজ কমিটির অফিসারেরা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে নটায় কলকাতায় বিমান আসার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের ৪০ মিনিট পরে কলকাতায় বিমান এসে পৌঁছায় দশটা বেজে দশ মিনিটের দিকে ।প্রথম বিমানে হাজির সংখ্যা ছিল ৩২১জন। তবে এবছর প্রথম ফ্লাইটের হজযাত্রীদের সম্পূর্ণ লাগেজ আসেনি। দ্বিতীয় বিমানে তাদের লাগেজ আসার কথা রয়েছে যার কারণে ১৬৩ জন হাজির লাগেজ দ্বিতীয় বিমানে এসে পৌঁছাবে। এয়ারপোর্টে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য হজ কমিটি। প্রথম বিমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর ,বাঁকুড়ার হাজির সংখ্যা বেশি রয়েছে।
বীরভূমের সিউড়ি থেকে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মোস্তাক হোসেন নামে এক হাজী তিনি বলেন সৌদি থেকে আসতে কোন তাদের সমস্যা হয়নি। মক্কা এবং মদিনায় যথাযথভাবে হজের সমস্ত নিয়মকানুন পালন করতে পেরেছেন। তিনি আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আদায় করেন তার সহধর্মিনী কে নিয়ে হজ করতে পারার জন্য । হজ পালন করতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কলকাতার বেহালা থেকে গেছিলেন আনোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী তাজকীরা বেগম তারা বলেন, আল্লাহর রহমতে হজ সম্পন্ন শেষ করতে পেরেছেন কোথাও কোন অসুবিধা হয়নি, মক্কা এবং মদিনায় সুস্থভাবে হজ সম্পন্ন করার জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হজ মানে কষ্ট কাজে সামান্য একটু কিছু অসুবিধা হলে সেটাকে দোষ ধরা ঠিক নয় ।আল্লাহর সন্তুষ্ট আদরের জন্য হজ করতে যাওয়া টুকটাক অসুবিধা হতেই পারে। তবে তিনি পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটি এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির বিরুদ্ধে তেমন অসহযোগিতার কথা বলেননি।হজ করতে যাওয়ার সময় কেউ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে ফেরার সময়েও কোনো অসুবিধা হয়নি ।কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সামান্য ত্রুটিকে তিনি পাত্তা দিতে নারাজ।
প্রথম বিমানের হাজীদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান নাদিমুল হক, কার্যনির্বাহী আধিকারিক মোহাম্মদ নকি,হজ কমিটির সদস্য রাকিবুল আজিজ,ফজলুর রহমান, হাজী রহিম বক্স ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সম্পাদক কুতুব উদ্দিন তরফদার সহ অন্যান্যরা।