পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি চলে। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আরও ৬০ হাজার আসনের প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোটের আর চার দিন বাকি।
এর ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে হলফনামা প্রকাশের জন্যও রয়েছে মাত্র চার দিন।এদিন কলকাতা হাইকোর্টকে কমিশন জানায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করা হয় না। গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণেই হলফনামা দেয় না কমিশন। ভোটের আগে স্বল্প সময়ে এত প্রার্থীর হলফনামা দেওয়া সম্ভব নয়’।
কিন্তু এ বছর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই সকল প্রার্থীর হলফনামাও প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি জানান, শুধু পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করলেই হবে না। সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর হলফনামাও প্রকাশ্যে আনতে হবে’।
এই মামলায় বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, -‘ ভোটাররা যে প্রার্থীদের ভোট দেবেন, তাঁদের সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা দরকার। হলফনামা দেখে প্রার্থী সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন ভোটাররা। তাই সকলের হলফনামা প্রয়োজন’।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলাটি করেন দেবপ্রসাদ নস্কর নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন শামিম আহমেদ। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে ভোটের আগে চার দিনে আরও ৬০ হাজার আসনের প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এই আসনগুলিতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা হবে দেড় লক্ষেরও বেশি।
চার দিনে এত বিপুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করার নির্দেশে চাপের মুখে কমিশন।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ‘এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে রাজ্য ‘।