পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মাঝ আকাশেই আক্রান্ত হন হৃদরোগে। তবুও নিরাপদে বিমানটি অবতরণ করিয়ে প্রাণ বাঁচান যাত্রীদের। কিন্তু বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেই পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা।
নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রয়েছেন নওশাদ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলে দেওয়ার জন্য পরিজনদের অনুমতির অপেক্ষা করছেন। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর পরিজনরা এখনই চাইছেননা লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানাচ্ছে ক্যাপ্টেন নওশাদের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। তাঁর মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন অধিকর্তা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন নওশাদ এখন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই ক্যাপ্টেন নওশাদকে নিয়ে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার মাসকাট- ঢাকা রুটে বিমান বাংলদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার সময় পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম অসুস্থ হয়ে পড়েন নাগপুরে জরুরি অবতরণ করার পর তাকে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।