শুভজিৎ দেবনাথ, জলপাইগুড়ি: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তালিকায় জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা মৃত ১, আহত ১৪। আহতদের মধ্যে ১৩ জন্যই নাগরাকাটা ও একজন আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার বাসিন্দা বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতের নাম সাগর খেরিয়া (৩০)। তিনি নাগরাকাটা চা-বাগানের ফুটবল লাইনের বাসিন্দা। মৃত যুবক সহ আরো ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক ব্যাঙ্গালোর থেকে হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলো।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতেই ফোন মারফত ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায়। সঙ্গে আরও ১৪ জন ছিলেন বলেই পরিবারের দাবি। কাজের তাগিদে তিন মাস আগে ভিন রাজ্যের পাড়ি দিয়েছেন সাগর সহ আরো ১৪ জন। তিনমাস পর বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনা।
শনিবার সকালে প্রশাসনের তরফে পরিবারের লোকজন মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পান। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাড়িতে এসেছে রাজ্য সরকারের আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক সহ চাম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রানথী তির্কে, তৃণমূলের নাগরাকাটা ব্লক সভাপতি সঞ্জয় কুজুর, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের আই এন টি টি ইউ সি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া সহ প্রশাসনিক কর্তারা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মন্ত্রী সহ তৃণমূলে নেতৃত্বের এদিকে মৃত্যুর সংবাদ আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
মৃতের মা ফুলমণি খারিয়া বলেন ,পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ওই ছিলো। কাল রাতে খবর পাই ট্রেন দুর্ঘটনায় ওর মৃত্যু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। কি ভাবে সংসার চলবে? দুশ্চিন্তায় রয়েছে। ছেলের মৃত দেহ আনার ব্যবস্থা প্রশাসন করুন এটাই আমি চাই।
জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, জলপাইগুড়ি জেলার দুই জন গুরুতর আহত, তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। দূর্ঘটনায় নিহত একজন, তিনি নাগরাকাটার বাসিন্দা সাগর খারিয়া বয়স ৩০।
ইতিমধ্যেই জেলা শাসক দফতর থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স বালেশ্বরের রওনা করে দেওয়া হয়েছে মৃতদেহ আনার জন্য। এছাড়াও আহতদের পরিবারদের নিয়ে একটি বোলোরো গাড়ি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করে দেওয়া হয়েছে।