পারিজাত মোল্লা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশিতে মিলেছিল পুরসভার নিয়োগের বেশকিছু কাগজপত্র। সেই কাগজপত্রের সুত্রে এবার তদন্তে নামলো কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আরও তত্পর হলো ইডি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে ইডির তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে? সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি।
শুধু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকেই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলে জানা গেছে।
সূত্র মারফত প্রকাশ, গত ২০১৪ সাল থেকে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন মারফত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। ২০১৪ সাল থেকে কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে? কোন এজেন্সি দায়িত্বে ছিল? সেই সব বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ । এছাড়া হুগলির জেলাশাসককেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগে ইডির তরফে যে রিপোর্ট আদালতে জমা করা হয়েছিল, তাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীল ইডির জেরায় স্বীকার করেছে পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে সব মিলিয়ে ২০০ কোটিরও বেশি টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ইডির। কোন কোন পদে নিয়োগের জন্য এই আর্থিক লেনদেন হয়েছিল?
সেই তথ্যও রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল ইডি। ইডির দাবি – মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। এখন দেখার ইডির এহেন চিঠিতে রাজ্য কতটা সাড়া দেয়?