আবদুল ওদুদ: মুসলিম সমাজকে আলো দেখাতে যে উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন ইতিহাসবিদ মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্তজা। সেই স্বপ্ন অনেকটাই সফল হচ্ছে তাঁর সুযোগ্য উত্তরাধিকারি কাজি মুহাম্মদ ইয়াসিনের হাত ধরে। তাঁদের তৈরি বর্ধমানের শ্যামসুন্দরপুর মামূন ন্যাশনাল গার্লস স্কুল এই বছর মাধ্যমিকে রেজাল্ট হয়েছে অসাধারণ। সুহানা মোল্লা ৬৭৭ নম্বর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ মেধা তালিকায় ১ থেকে ২০ মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪১জন ।৪১ জনই প্রথম বিভাগে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে । এর মধ্যে ৩৩ জন স্টার মার্কস পেয়েছে। ৮০শতাংশ ও তার ওপরে পেয়েছে ২৮ জন মেয়ে।৯০ শতাংশ এবং তার উপরে নম্বর পেয়েছে ১৩ জন ছাত্রী।
এই বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সুহানা মোল্লা। তার বিষয় ভিত্তিক নম্বর হল বাংলায় ৯৮, ইংরেজিতে ৯৭, গণিতের ৯০ ,ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৫ ও ভূগোলে একশত পেয়েছে। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার,মেমারির সুলতানপুরে। বাবা রুহুল আমিন মোল্লা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণি থেকে জি ডি স্কলারশিপে এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।
সে ডাক্তার হয়ে দেশ ও দশের সেবা করতে চায়। বিদ্যালয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে সুবাইতা পারভীন। এই বিদ্যালয়ে সে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়াশোনা করছে। সে এতিম হওয়ায় খুব কম ফীজ এ এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করত । তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৬৬১ । তার বিষয় ভিত্তিক নাম্বার হলো বাংলায় ৯৫ ,ইংরেজি ৯০ ,গণিতে ৯৮ ,ভৌত বিজ্ঞানে ৯০ ,জীবন বিজ্ঞানে ৯৯,ইতিহাসে ৯৫ও ভূগোলে ৯৪ নাম্বার পেয়েছে। সুবাইতা পারভীনের বাড়ি গুলজার বাগ,অন্ডাল, পশ্চিম বর্ধমান। সে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে,প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। এই বিদ্যালয়ের অভাবনীয় ফলাফলে মিশন পরিবার, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকমণ্ডলী এবং এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।
এক প্রতিক্রিয়ায় কাজি মুহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ফলাফলে তাঁরা খুশি। আগামি দিনে আরও ভালো ফল হবে এই প্রত্যাশা রাখি পড়ুয়াদের উপর। মামুন ন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্তজার দেখানো পথে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁর আদর্শ ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে সেই লক্ষ্যে আমার কাজ করে চলেছি।