পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই পালিত কন্যার উপরে চলত অকথ্য অত্যাচার। মারধর তো ছিলই সেইসঙ্গে গরম কয়লা শরীরে চেপে ধরে দাগ করে দেওয়া, ছুরি দিয়ে কাটা হয়েছে জিভ, শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হয়েছে গরম সাঁড়াশির ছ্যাঁকা। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের নার্স।
স্ত্রীয়ের সঙ্গে মিলে স্বামী ও তাদের নিজের সন্তানও পালা করে অকথ্য অত্যাচার চালাত ওই সাত বছরের নাবালিকার ওপরে। ৫০ বছর বয়সী নার্স সহ ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে দম্পতির পুত্রকে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম রেণু কুমারী। তিনি সফদরজং হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত। তাঁর স্বামী আনন্দ কুমারের বিরুদ্ধেও তাঁদের ৭ বছরের পালিতা কন্যাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই শিশুকন্যার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার শরীরের ১৮টি জায়গায় ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সাত বছরের এই শিশুকন্যাটিকে দত্তক নেন রেণু কুমারী নামের ওই নার্স। কিন্তু দত্তক নেওয়ার পর থেকে সন্তান স্নেহে পালন করা তো দূরের কথা, তার ওপর চলতে থাকে শারীরিক নির্যাতন। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন তার স্কুলের এক শিক্ষিকার সন্দেহ হয়। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। শিশুটি তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে, সে আরকে পুরম এলাকায় তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে থাকত। তাকে দত্তক নেওয়ার পর থেকে অমানুষিক অত্যাচার চালানো হত। শরীরের নানা জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া থেকে, মারধর করা হত। এমনকী গরম জলের পাত্রের উপরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকে বসিয়ে রাখা হত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।