পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাঁকুড়া বলরামপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে ফের একগুচ্ছ জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ঘোষণার পাশাপাশি কেন্দ্রের বঞ্চনা দিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বাঁকুড়া থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের বিষয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-এর মধ্যে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে নলবাহিত জল হবে। গঙ্গাজল ঘাঁটিতে তৈরি হয়েছে জলপ্রকল্প। এই জলপ্রকল্পে উপকৃত হবে অসংখ্য মানুষ। বড়জোড়া ইণ্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হবে। বাঁকুড়ায় পর্যটন শিল্পে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। হোম-স্টে তৈরি হয়েছে। রঘুনাথপুরে বিরাট ইণ্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরি হচ্ছে।
১১ বছরে দূর হয়েছে মাওবাদি আতঙ্ক। মমতা বলেন, সড়ক নির্মাণে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাঁকুড়া সড়ক উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ সমন্বয়কারী রাস্তা তৈরি হবে। ৬ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকার উপকৃত হয়েছে। আগামী বছর বাংলায় ৮ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের নারী ক্ষমতায়নের জোর দিয়ে বলেন, বাংলার মেয়েরা সব পারবে। নারী ক্ষমতায়নে বাংলা ১ নম্বর।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়ে বলেন, ১০০ দিনের টাকা দেয় না কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকার আজ পর্যন্ত কি করেছে বাঁকুড়ার জন্য। কোকিল যেমন কাকের বাসায় ডিম পাড়ে, বিজেপিকেও তেমনি ভোটের আগে দেখা যায়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। কেন্দ্র এখন আদার ব্যাপারিকে টাকা দেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও তিন শতাংশ ডিএ দিয়েছি। কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ভাতে মারতে চাইছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাবে পড়ুয়ারা। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিলে গ্যারেন্টার হবে রাজ্য সরকার। পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ ছেলে-মেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড় করাব।
মুখ্যমন্ত্রী ফের এদিন বলেন, বাইরে পড়তে গেলে যান, কিন্তু পড়াশোনার শেষে এখানে ফিরে আসুন। বাবা-মায়ের বয়স হয়ে গেলে তাদের পাশে থাকাটাও প্রয়োজন।
বাঁকুড়া থেকে মমতার হুংকার, বাংলার মানুষ ভিক্ষে চায় না, তারা অধিকার চায়, সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়। বাংলার জনগণ আমাকে ভালোবাসে, আমিও ভালোবাসি, তাই প্রকল্প তৈরি করি। কিন্তু আমি ম্যাজিশিয়ানের মতো টাকা দিতে পারব না।
মমতা বলেন, রাজ্য থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু আমাদের টাকা দেয় না কেন্দ্র। আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে, আর মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে পাঁচ মা-মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে, কিন্তু সেদিকে দেখার হুঁশ নেই।