পুবের কলম প্রতিবেদক: দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের বীভৎসতায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এবার সেই কাণ্ডের ছায়া শিলিগুড়িতে। স্ত্রীকে খুন করে তার দেহ দু’ টুকরো করে খালের জলে ভাসিয়ে দিলেন স্বামী। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মুহাম্মদ আনসারুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার গোয়ালটুলি মোড় এলাকার ঘটনা। মৃতা স্ত্রীয়ের নাম রেণুকা খাতুন(৩০)। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান স্ত্রী রেণুকাকে বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্কের সন্দেহে খুন করেছে আনসারুল। পরে তার দেহ দু’টুকরো করে কেটে তিস্তা ক্যানালে ভাসিয়ে দেয় সে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা ক্যানেলে রেণুকার দেহাংশের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, ৬ বছর আগে আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রেণুকার। তাদের এক শিশু পুত্র রয়েছে। শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনিতে থাকতেন এই দম্পতি। রেণুকার পরিবারের দাবি, প্রথমের দিকে তাদের দুজনের মধ্যে অশান্তি হলেও পরের দিকে সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল।
মৃতার আত্মীয় মহম্মদ সেলিমের বয়ান অনুযায়ী, বুধবার রাতে পুলিশ ফোন করে জানায় রেণুকার খোঁজ মিলেছে। আমরা দোষীর ফাঁসি চাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় একটি বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিতেন রেণুকা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না। গত ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে রেণুকার পরিবার। তার পরেই তদন্তে নেমে রেণুকার স্বামী আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে ফাঁসিদেওয়ায় নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে আনসারুল। তার পর তার দেহ দু’টুকরো করে চটহাট সংলগ্ন তিস্তা ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, রেণুকা খাতুন নামে এক মহিলা নিখোঁজ ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি হয় তার পরিবারের তরফে। রেণুকা খাতুনের খুনের কথা স্বীকার করেছেন তার স্বামী আনসারুল। দেহ দু’টুকরো করে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতার পরিবারের উপস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল তল্লাশি চালাচ্ছে তিস্তা ক্যানেলে। বৃহস্পতিবার ধৃত স্বামীকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে।